শুভ জন্মদিন মাঠে ময়দানের প্রিয় রাজনৈতিক অভিভাবক -পদ্মার এপারে আমার অনুকরণীয় সর্বসেরা নেতা কর্মবীর শ্রদ্ধেয় তালুকদার আব্দুল খালেক ভাই। অনেক অনেক শুভেচ্ছা- শুভ কামনা আর দোয়া প্রিয় এই মানুষটির জন্য।
প্রায় ৩৪/৩৫ টি বছর আগে থেকে দেখে আসছি খুব কাছ থেকে যে মানুষটিকে। অর্থাৎ প্রায় ১২,৭৭৫ দিনের মধ্যে মাত্র ৩০ টি দিন যে নেতাকে শারীরিক অসুস্থতা বা অন্য কোন কারনেই রাজনৈতিক কর্মে নিষ্ক্রিয় দেখিনি। দেখেছি শুধু কাজ আর কাজ করতে। সেই ফজরের পর ভোরবেলা থেকে শুরু করে রাত্র ১২/১ টা পর্যন্ত একনাগাড়ে পরিশ্রমে যার জুড়ি নেই। শুধু খুলনা নগর নয়, বাগেরহাট এর রামপাল মোংলায়ও দুর্দান্ত প্রতাপে পরিচ্ছন্ন রাজনীতি সর্বপরি উন্নয়ন ও জনমুখী কার্যক্রম এগিয়ে নিয়ে যেতে দিনরাত পরিশ্রম করেন যে মানুষটি, তিনিই আমাদের সকলের প্রিয় ভালবাসার মানুষ জননেতা তালুকদার আব্দুল খালেক ভাই।
ভাল কাজ ও পরিশ্রম কখনো বৃথা যায় না। পদ্মার এপারের এই রাজনৈতিক নেতার জীবনের অর্জনও কম নয়। একাধিকবার ওয়ার্ড কমিশনার, ন্যাশনাল পার্লামেন্ট মেম্বার, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রী পরিষদের সফল ও নিষ্কলঙ্ক সন্মানীত সদস্য, খুলনা সিটি কর্পোরেশনের বারবার নির্বাচিত নগরপিতার সিটি মেয়রের মত পদে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। শুধু এখানেও থেমে থাকেনি-সমগ্র বাংলাদেশে একমাত্র নেতা যিনি নিজে মেয়র আবার স্ত্রী সংসদ সদস্য আবার মন্ত্রী পরিষদের সন্মানীত সদস্য। মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় এই সংগ্রামী কর্মবীর নেতাকে দুহাত ভরে পদ-পদবী-সন্মান দিয়ে চলেছেন মহান সৃষ্টিকর্তার ইচ্ছায় বঙ্গবন্ধুর যোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
এমনকি ৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা প্রতিমন্ত্রী থাকাকালীন সময়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই নেতাকে একসাথে খুলনা, বাগেরহাট সাতক্ষীরা, নড়াইল, মাগুরা এমনকি বাঙ্গালীদের তীর্থভূমি গোপালগঞ্জেরও জেলা মন্ত্রীর দায়িত্ব দেন। কতটুকু আস্থা ও বিশ্বাস না অর্জন করলে সেদিন এটা সম্ভব হয়েছিল ?
শুধু জনপ্রতিনিধিত্ব করার অভিজ্ঞতায় যিনি ধারাবাহিকভাবে প্রায় ৪৫ বছর পিছনে ফেলে এসেছেন একমাত্র সফলতা অর্জনে।
এছাড়াও সেই ছাত্রজীবনে সরকারী মজিদ মেমোরিয়াল সিটি কলেজের ছাত্রসংসদের নির্বাচিত সদস্য (এজিএস), খুলনা জেলা ছাত্রলীগ এর সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় শ্রমিক লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক, খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগের একাধিকবার সভাপতি/সাধারণ সম্পাদক, এমনকি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ এর কেন্দ্রীয় কার্যকরী সংসদের সদস্য পদে পর্যন্ত মূল্যায়ন পেয়েছেন।
একজন ছাত্রনেতা থেকে শ্রমিক নেতা পরবর্তীতে জননেতা সময়কাল অনেক আগেই পঞ্চাশ বছর পার করেছেন।
মানুষের জন্য, মানবতার জন্য, দেশের জন্য তিনি করেছেনও অনেক। খুলনা মহানগর সহ বাগেরহাট রামপাল-মোংলা আলোকিত করার জন্য কর্মবীর এই নেতার অবিরাম শ্রম-মেধা-মনন-একাগ্রতা আজ সর্বমহলে অনস্বীকার্য। উনার চেষ্টা, শ্রম, ইচ্ছাশক্তিকে নেপথ্যে থেকে সবসময়ই উৎসাহ সহ সকল প্রকার সহযোগিতা করেছেন বঙ্গবন্ধু পরিবার। ছোট খাট বাধা বিপত্তি তাকে সাময়িকভাবে দমিয়ে রাখার প্রচেষ্টা চালালেও আজ পর্যন্ত সফল হতে পারে নাই। কারণ তিনি একান্তই মাঠে ময়দানের একজন কর্মবীর প্রকৃত মুজিব আদর্শের পরিশ্রমী কর্মী।
একজন তালুকদার আব্দুল খালেক এই বঙ্গে আর কোনদিন জন্মাবেন কিনা জানিনা; তবে এতটুকু জানি যার কাছ থেকে আমাদের শিক্ষার অনেক কিছু আছে।
বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে ধারণ করে মানবতা ও প্রিয় মাতৃভূমিকে ভালোবেসে যে মানুষগুলি রাজনীতি করেন তাদের জন্য তালুকদার আব্দুল খালেকের সফল কর্মমুখী রাজনৈতিক জীবনকাল অবশ্যই অনুকরণীয়।
প্রিয় এই নেতার শুভ জন্মদিন আজ ! অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা আর ভালোবাসা আপনার শুভ জন্মদিনে।
তাঁর দীর্ঘ দিনের রাজনৈতিক জীবনে সুস্থতার সাথে কাটলেও বর্তমানে তিনি কিছুটা অসুস্থ। কিছুদিন আগে তিনি বেশ অসুস্থ হয়ে শহীদ আবু নাসের বিশেষায়িত হাসপাতালে ভর্তি হলে এই অঞ্চলের দল মত ধর্ম বর্ণের উর্ধ্বে সকল রাজনৈতিক নেতাকর্মী, সমর্থক সহ সাধারণ মানুষ খুব বিমর্ষ হয়ে পরেন। মহান রাব্বুল আলামিনের দরবারে খুলনাবাসীর দোয়ায় মাত্র অল্প সময়ের মধ্যেই তিনি সুস্থ হয়ে উঠেন। পরে সিঙ্গাপুরের অ্যাপোলো হসপিটালে আবারও সেই বঙ্গবন্ধু পরিবারের চেষ্টায় তিনি উন্নত মেডিকেল চেক আপ করান। চেক আপ শেষে সকল রিপোর্ট দেখে এপোলো হাসপাতালের অভিজ্ঞ ডাক্তাররা জানান তিনি সুস্থ আছেন কিন্তু তার কিছুদিনের রেস্টের প্রয়োজন। ঢাকা সি এম এইচ এ প্রথম অপারেশন এরপরও ডাক্তাররা তাকে ক্ষত স্থান পরিপূর্ণভাবে না শুকানো পর্যন্ত পরিপূর্ণ রেস্ট এর নির্দেশনা দিয়েছিলেন । কিন্তু কাজ পাগল এই নেতা কিছুদিন যেতে না যেতেই আবারও অক্লান্ত পরিশ্রম শুরু করেন।খুলনা সিটি করপোরেশনের বিভিন্ন উন্নয়নমূলক কাজ থেকে শুরু করে দলীয় কাজে ব্যস্ত হয়ে উঠেন। যে কারনে অপারেশন স্থানে ইনফেকশন হয়। আলহামদুলিল্লাহ উন্নত চেক আপ শেষে গতকাল তিনি খুলনা ফিরেছেন। সুস্থ আছেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী তিনি খুলনা মুন্সিপাড়াস্থ বাসায় বিশ্রামে আছেন। মহান দয়ালু মালিক এই কর্মবীর ব্যক্তিত্ব কে আরও অনেক বছর জীবন দান করেন – মানবতা ও দেশের জন্য বাঁচিয়ে রাখুন! – এই প্রার্থনা আজ আওয়ামীলীগ এর অযত্ন-অবহেলায় এখনো নিভু নিভু করে জ্বলে থাকা দুর্দিনের নির্লোভ নিষ্কলঙ্ক অভিমানী নেতাকর্মীদের। আগামীতে সবকিছু সুন্দর হোক! শুভ হোক! জয় বাংল, জয় বঙ্গবন্ধু।
(লেখক : সাবেক ছাত্রনেতা)