আসন্ন ঢাকা-১৭ আসনের উপনির্বাচনে স্বতন্ত্রপ্রার্থী হিসেবে আলোচিত কনটেন্ট ক্রিয়েটর হিরো আলমের মনোনয়ন বাতিল হয়েছে। এক শতাংশ ভোটারের স্বাক্ষর জটিলতায় তার মনোনয়ন বাতিল হয়েছে বলে জানিয়েছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. মুনীর হোসাইন খান। রোববার আগারগাঁওয়ের নির্বাচনি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটে (ইটিআই) মনোনয়ন বাছাই শেষে এ তথ্য জানান তিনি।
এদিকে মনোনয়ন বাতিলের পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় হিরো আলম বলেন, ‘নির্বাচন কমিশনার বলেন আর আমার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী যারাই আছে, তারা আমাকে দেখে ভয় পায় কিনা জানি না। তারপরেও প্রার্থীতা ফিরে পাই। কিন্তু ফিরে পেলে কি করব, জয়ী হলেও ছিনিয়ে নেয়া হয়।’
আদালতে যাওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, উনারা যে ভোটারের সংখ্যার কথা বলেছে তা আমি দিয়েছি। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, ঋণ খেলাপি, মামলাসহ কোনো কিছুই দোষ খুঁজে পায়নি। বের করছে কি- তারা (নির্বাচন কমিশন) দশজন ভোটার নাকি খুঁজে পায়নি। কিন্তু আমার ভোটাররা এখানে উপস্থিত আছে তারা স্বাক্ষরও করেছে। আপনারা যদি চান তাহলে ভোটারের সঙ্গে কথা বলতে পারেন। তারা নাকি আমার দশটা ভোটার খুঁজে পায়নি।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন থেকে আমাকে ফোন দেয়া হয় তারা নাকি আমার ভোটার খুঁজে পায় না। তখন আমি তাদের নিজেই সহযোগিতা করি। আমরা একমাস ধরে ৩ হাজার ৩০০ ভোটারের নাম সংগ্রহ করেছি। অথচ তারা পেল না। আমার ভোটারদের তারা ভালো করে খোঁজেনি।’
আপনার ভোটারদের ভয়ভীতি দেখানো হয়েছে কি না; এমন প্রশ্নের জবাবে হিরো আলম বলেন, গুলশান, নিকেতন ও বনানি এলাকার ভোটারের কাছে যায়নি। কমিশন বস্তি এলাকায় গেছে। বস্তি এলাকার মানুষ পুলিশ দেখলে এমনিতেই ভয় পায়। কমিশন কড়াইল বস্তি এলাকায় গেছে। সিভিল ড্রেসে যেতে পারতো অথচ পুলিশ নিয়ে গেছে।
প্রার্থীতা ফিরে পেতে আদালতে যাওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ভোটের লড়াই থাকে। এর আগেও আমি হাইকোর্টে গিয়ে প্রার্থিতা নিয়ে এসেছি। এরপরে ভোটও করছি। ভোটে পাশও কিন্তু ফলাফল হয়। এরপরও যদি আমি চেষ্টা করে প্রার্থিতা নিয়ে আসি, ভোটের ফলাফল জিরো পাবো কিনা তাও জানি না।’
তার জনপ্রিয়তাকে ভয় পায় দাবি করে হিরো আলম বলেন, জনপ্রিয়তাকে ভয় যদি নাহি পাবে তাহলে বার বার আমার প্রার্থিতা বাতিল কেন করা হয়। বারবার কেন আমাকে হ্যারেজমেন্ট করা হইলো। ভোটে পাশ করলেও কেন আমাকে ক্ষমতায় বসানো হয় না। প্রতিবার আমার প্রার্থিতা বাতিল করছে।
তিনি আরও বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে পারি কোর্টে গেলে আমার প্রার্থিতা ফিরে পাবো। কারণ সব প্রমাণ আমার কাছে আছে। তবে আমি অবশ্যই আদালতে যাবো প্রার্থিতা ফিরে পাওয়ার জন্য।
খুলনা গেজেট/এসজেড