ভারতের আমদাবাদের একটি বেসরকারি কোভিড হাসাপাতালে আগুন লাগার জেরে এখনও পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। বৃহস্পতিবার (৬ আগস্ট) সকালে বিধ্বংসী আগুন লাগে এই হাসপাতালে। দ্রুত সেখানে পৌঁছে উদ্ধারকাজ শুরু করে দমকল। মৃতদের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রীর দফতরের তরফে মৃত ও আহতদের পরিবারের জন্য ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করা হয়েছে।
আমদাবাদের নবরংপুর এলাকায় রয়েছে শ্রেয় হাসপাতালে। সেই বেসরকারি হাসপাতালে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের চিকিৎসা করা হচ্ছিল। সেখানেই আজ ভোর তিনটে নাগাদ আগুন লাগে। যার জেরে অন্তত আট রোগীর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। মৃতরা সকলেই আইসিইউতে ভর্তি ছিলেন বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। ৫০ শয্যার সেই হাসপাতালে ৪৫ জন করোনা আক্রান্ত ভর্তি ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের উদ্ধার করে ১০টি অ্যাম্বুল্যান্সের মাধ্যমে সর্দার বল্লভভাই পটেল ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালের বাইরে ভিড় করেন রোগীদের পরিজনরা। তবে কী করে ওই হাসপাতালে আগুন লাগল সে ব্যাপারে এখনও কিছু জানা যায়নি। অসমর্থিত সূত্রের খবর, শর্ট সার্কিট থেকেই ছড়িয়েছে আগুন।
কোভিড হাসপাতালে আগুন লাগা নিয়ে টুইটারে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বলেন, ‘‘আমদাবাদের হাসপাতালে আগুনের ঘটনায় দু:খিত। মৃতদের পরিবারের প্রতি সমবেদন জানায়। আহতরা দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুন।’’ ঘটনা নিয়ে গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী ও আমদাবাদের মেয়র বিজয় পটেলের সঙ্গে কথা বলেছেন বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী।
প্রধানমন্ত্রীর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডল থেকে ক্ষতিপূরণের কথাও জানা হয়েছে। আমদাবাদের হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনায় মৃতদের পরিবার পিছু দু’লক্ষ টাকা ও আহতের প্রত্যেককে ৫০ হাজার করে টাকা প্রধানমন্ত্রী ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে জানানো হয়েছে। শ্রেয় হাসপাতালে আগুন লাগার ঘটনা নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন গুজরাতের মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। তিন দিনের মধ্যে এই ঘটনার রিপোর্ট জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী।
গুজরাতে কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা রোজদিনই বেড়ে চলেছে। সেখানে এখনও পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ৬৫ হাজারেরও বেশি। করোনার জেরে সে রাজ্যে মোট মৃত্যু আড়াই হাজার ছাড়িয়েছে।
খুলনা গেজেট/এআইএন