সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দরে কাস্টমস হাউজ চালু, আমদানী বাণিজ্যে বেনাপোল স্থল বন্দরের সাথে বৈষম্য নিরসন ও জিরো পয়েন্টে সি এন্ড এফ এজেন্ট এ্যাসোসিয়েশনের নামে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবী জানিয়েছেন আমদানি ও রপ্তানিকারক অ্যাসোসিয়েশনের নেতৃবৃন্দ।
শনিবার (৯ মার্চ) বিকালে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থল বন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের নিজস্ব কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় এই দাবি জানানো হয় ।
ভোমরা স্থল বন্দর আমদানী ও রপ্তানীকারক এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি রামকৃষ্ণ চক্রবর্তীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মাসিক সভায় বক্তব্য রাখেন, সংগঠনের কার্য নির্বাহী কমিটির সদস্য মিজানুর রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান নাসিম, আক্তার হোসেন (পানি ডাক্তার), সিনিয়র সহ সভাপতি আসাদুর রহমান, সহ সভাপতি রিয়াজুল হক ও আবুল হোসেন, যুগ্ম সাধারন সম্পাদক মিজানুর রহমান, সাংগঠনিক সম্পাদক মোশাররফ হোসেন, বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক কিনু বিশ্বাস, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক আসাদুল ইসলাম, দপ্তর বিষয়ক সম্পাদক জি. এম খোরশেদ আলম, ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক পঙ্কজ দত্ত, প্রচার বিষয়ক সম্পাদক মো. আনারুল ইসলাম আনার, সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক মিজানুর রহমান মিজান প্রমূখ ।
সভা সঞ্চালনা করেন সাধারন সম্পাদক অহিদুল ইসলাম।
সভায় বক্তারা বলেন, ২০১৪-২০১৫ সালের আগে ভোমরা সি এ্যান্ড এফ এ্যাসোসিয়েশনের কোন নিবন্ধন ছিল না। বর্তমানে শ্রম অধিদপ্তর দ্বারা নিবন্ধিত। যে কোন সংগঠনের নিবন্ধন বাধ্যতামূলক নয়। যে কোন ব্যক্তি বা সংগঠনের ন্যায্য অধিকার আদায় ও অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা সাংবিধানিক অধিকার।
সভায় বক্তারা আরও বলেন, বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে যে সকল পণ্য আমদানি করা হয় তার অর্ধেক সংখ্যক পণ্য ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি করা হয় না। আমদানি বাণিজ্যের এই বৈষম্য ভোমলা স্থল বন্দরকে ক্ষতিগ্রস্ত করছে। ভোমরা স্থলবন্দর দিয়ে সকল পণ্য আমদানি অনুমতি সহ কাস্টম হাউস ঘোষণার দাবি জানান বক্তারা। একই সাথে ভোমরা স্থলবন্দরে একটি সংগঠনের নামে জিরো পয়েন্টে আমদানি পণ্যবাহী ট্রাক থেকে চাঁদাবাজি বন্ধের দাবি জানানো হয় । জিরো পয়েন্টের চাঁদাবাজির অপকর্মটি ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার জন্য সি এন্ড এফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের বক্তব্য সাধারণ মানুষ তথা ভোমরা বন্দর ব্যবহার কারীদের বিভ্রান্ত করার অপচেষ্টা মাত্র ।
খুলনা গেজেট/ এএজে