আবেদিন ভিলার নূরজাহান মোহর মিলনায়তনে গত রবিবার হঠাৎ অনুষ্ঠিত হলো একটি চমৎকার মিলনমেলা। ছোট্ট পরিসরে আকাশ থেকে যেন খসে পড়লো কিছু নক্ষত্র। জ্ঞানে, সম্মানে, মর্যাদায় যে তিন দিকপালের উপস্থিতিতে ঘটনাটি ঘটলো তারা আমারই জীবনের এক একটি অনস্বীকার্য ব্যক্তিত্ব।
তাদের মধ্যে আবেদিন ভিলার কনিষ্ঠ পুত্র ড. এন এম কামরুল ইসলামের স্নেহের ছত্রছায়ায় আবেদীন ভিলার নিচের ঘরখানিতে আমরা আজকাল প্রায়শ: অনুষ্ঠান করছি, যদিও সাময়িক তবু তো পেয়েছি। এটুকুই বা কে দেয়।
সাবেক মেয়র মনিরুজ্জামান মনি আবেদিন ভিলার জামাই, যিনি রূপসা নন্দিনী সাহিত্য ও পাঠচক্রের দীর্ঘ কার্যকালের গৌরবময় অধ্যায় খুলনা মহানগর এর জাতিসংঘ পার্কে নন্দিনীদের দ্বারা পরিচালিত একুশের বইমেলার প্রথম অনুমতিদাতা, যার হস্তক্ষেপে খুলনা মহানগরীতে রূপসা নন্দিনীরা পরপর তিন বছর একুশের বইমেলা সফলতার সাথে বাস্তবায়ন করার সুযোগে দেশে-বিদেশে অবস্থিত সকল নন্দিনী পরিবারে আজও খুলনার মুখকে উজ্জল করে রেখেছে। বড় ভাই, অভিভাবকতুল্য মনিভাই এর সঙ্গে সেই সময় থেকেই সুসম্পর্ক যা আজও আত্মার সৌন্দর্যে সুরক্ষিত।
অতঃপর এ এইচ এম শওকত। আমার চাচা। অলৌকিকভাবেই এমন কিছু মানুষ আত্মীয়তার থেকেও মহৎতর হয়ে যায়। চাচার সাংসারিক আঙিনা অত্যন্ত চমৎকার। তার জীবনপ্রবাহে বহু শিক্ষণীয় উপকরণ ছড়িয়ে থাকে যা বহুবার আমাকে মুগ্ধ করেছে। চাচীও আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। তিনি রিয়েল স্টেট উপদেষ্টা হিসেবে সুপ্রতিষ্ঠিত ও খ্যাতিমান।
এই তিনটি মানুষকে হঠাৎ এক দিনের নোটিশে একত্রিত করার চমৎকারিত্ব এক আল্লাহপাক ছাড়া আর কারো পক্ষে সম্ভব নয়। যা বোঝানো যায় না। কেবলমাত্র অনুভব করা যায়।
কোন সংগঠন কিংবা ব্যানারের আওতায় করার সুযোগ হলো না বিধায় আমার আশেপাশে যেসব স্নেহের প্রিয়জনেরা ঘোরাঘুরি করে তাদেরই সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করতে হলো। অনেককেই মনে পড়েছে কিন্ত তাদের ডাকার অবকাশ কিংবা সুযোগ পেলাম না। সকলের কাছে ক্ষমা প্রার্থী।
খুলনা গেজেট/এনএম