খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ ভাদ্র, ১৪৩১ | ৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে আরো তিনজনের মৃত্যু হয়েছে
  চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে শিপইয়ার্ডে জাহাজ কাটার সময় বিস্ফোরণ, দগ্ধ ১২
  নিরবচ্ছিন্নভাবে চলছে সব তৈরি পোশাক কারখানা, কাজে ফিরেছেন পোশাক শ্রমিকরা; শিল্পাঞ্চলে নিরাপত্তা জোরদার

আবারও হারলো ফরচুন বরিশাল

ক্রীড়া ডেস্ক

ফরচুন বরিশালের তখন ৪ বলে ২৯ রান দরকার। আল-আমিন হোসেনের বলটি উড়িয়ে মারেন মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন। কিন্তু দুর্ভাগ্য, স্পাইডার ক্যামেরায় লেগে বল ধপাস করে পড়ে মাঠের মাঝেই। ডেড বল। সমীকরণ তখনও একই থাকলেও মাঝারি লক্ষ্যে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের সঙ্গে পেরে ওঠেনি তামিম ইকবালরা। ১৬ রানে জিতে শুভগত হোমের দল জমা করেছে ১০ পয়েন্ট।

মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) মিরপুর শেরেবাংলা ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দেড়শ রানের আগেই থামে চট্টগ্রাম। ৪০ বলে ফিফটি হাঁকিয়ে দলকে ১৪৫ রান পর্যন্ত নেন টম ব্রুস। জিততে হলে শহিদুল-বিলালদের বিপক্ষে তামিম ইকবালদের তুলতে হতো ওভারপ্রতি সাতের একটু বেশি করে রান। কিন্তু নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারানো বরিশাল শেষ পর্যন্ত জটিল হয়ে ওঠা সমীকরণ মেলাতে পারেনি। টানা দুই হারে টেবিলের পাঁচে নেমে গেছে তামিম-মুশফিকরা। অন্যদিকে শীর্ষে থাকা রংপুর রাইডার্সের সমান পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের দুইয়ে উঠেছে শুভগত হোমের দল।

এদিন টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা চ্যালেঞ্জার্সদের শুরুটা ভালোই আসে। ৫.৩ ওভারে স্কোরবোর্ডে জমা হয় ৩৯ রান। এরপরই স্লথ ব্যাটিংয়ের শুরু। তানজিদ তামিম আরেকবার বড় রান করতে ব্যর্থ হন। ইনজুরি কাটিয়ে ফের ক্রিকেটে ফেরা মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের শিকার হওয়ার আগে জুনিয়র তামিম করেন ১০ রান।

মাঝের দিকে বরিশালের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে উইকেট খুব বেশি না হারালেও রান করতে খাবি খায় চট্টগ্রাম। যার প্রভাব পড়ে স্কোরবোর্ডে। মিডলে রান করতে ব্যর্থ হন সাহাদাত (১৫), নাজিবুল্লাহ জাদরান (৪) ও সৈকত আলী (১১)। তিনে নামা টম ব্রুসের ৪০ বলে ৫০ রানের ইনিংস চট্টগ্রামকে দেড়শ রান পর্যন্ত এগিয়ে নেয়।

তামিমদের হয়ে সাত বোলারের চারজন পান উইকেটের দেখা। ইনিংসের সর্বোচ্চ দুটি উইকেট নেন মোহাম্মদ ইমরান। বোলিংয়ে দুর্দান্ত করা বরিশাল ব্যাটিংয়ে শহিদুল-আল-আমিনের পেসে কুপোকাত হয়। ৪ ওভারে ৩১ রানে দুটি উইকেট নিয়েছেন আল-আমিন। ১৩ রানের বিনিময়ে বরিশালের তিন খেলোয়াড়কে ফিরিয়েছেন শহিদুল ইসলাম। ১৬ রানে জয়ের পেছনে একটি করে উইকেট শিকারের অবদান বিলাল খান, সৈকত আলী ও নাহিদুজ্জামানের।

বরিশালও এদিন শুরুটা ভালো করেছিল। আহমেদ শেহজাদকে নিয়ে ২৮ রানের জুটি গড়েছিলেন তামিম। এরপর তিন ও চারে নামা সৌম্য সরকার ও মেহেদী হাসান মিরাজ ফেরেন কোনো রান না করেই। মুশফিকুর রহিমও পারেননি দলের হাল ধরতে। শোয়েব মালিক, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও ছিলেন ব্যর্থ।

তামিমের ৪৬ বলে ৪৯ রান ও শেষ দিকে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের ১৮ বলে ৩০ রানের ঝড় হারের ব্যবধান কমিয়েছে এই যা। নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৮ উইকেট হারানো বরিশাল ১২৯ রান পর্যন্ত যেতে পারে।

খুলনা গেজেট/কেডি




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!