তাসকিন আহমেদকে ছক্কা মেরে ওয়ার্নার দেখা পান ফিফটির। পরের বলে সিঙ্গেল নিয়ে স্ট্রাইক দেন ম্যাক্সওয়েলকে। এরপর আবার বৃষ্টির বাধা। ৩৪ বলে ক্যারিয়ারের ২৮তম ফিফট হাঁকান ওয়ার্নার। ৫৩ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। তার সঙ্গে ৬ বলে ১৪ রানে অপরাজিত ম্যাক্সওয়েল। জয়ের জন্য অজিদের প্রয়োজন ৫২ বলে ৪১ রান। আর খেলা না হলেও অজিরা বৃষ্টি আইনে বড় ব্যবধানে জিতবে। বাংলাদেশের হয়ে ২ উইকেট নেন রিশাদ।
এখনও পর্যন্ত ১১ ওভার ২ বলে ২ উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ১০০ রান। জয়ের জন্য ৫২ বল থেকে তাদের আরও প্রয়োজন ৪১ রান।
ছোট লক্ষ্য তাড়ায় শুরুটা উড়ন্ত শুরু পেয়েছে অস্ট্রেলিয়া। ইনিংসের দ্বিতীয় বলেই শেখ মেহেদিকে রিভার্স সুইপে বাউন্ডারি হাঁকান ডেভিড ওয়ার্নার। এই অজি বোলারদের থিতু হওয়ারই সুযোগ দেননি। আরেক ওপেনার ট্রাভিস হেডও একই পথে হেটেছেন। দুই ওপেনারের সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরুর পাওয়ার প্লেতে কোনো উইকেট না হারিয়ে ৫৯ রান তুলে অস্ট্রেলিয়া।
পাওয়ার প্লে শেষে বোলিংয়ে আসেন রিশাদ হোসেন। ষষ্ঠ ওভারের দ্বিতীয় বল হওয়ার পরই ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। অবশ্য সেটার স্থায়িত্ব ছিল দুই-তিন মিনিট। এরপর মাঠ প্রস্তুতের কাজও চলছিল। তবে মিনেট দশেক পরই আরেক দফা বৃষ্টি নামে। সবমিলিয়ে ২০ মিনিটের মত খেলা বন্ধ ছিল।
বৃষ্টির পর খেলা শুরু হলে উইকেটের দেখা পায় বাংলাদেশ। সপ্তম ওভারের পঞ্চম বলে ট্রাভিস হেডকে বোল্ড করেন এই লেগি। সাজঘরে ফেরার আগে ২১ বলে ৩১ রান করেছেন এই ওপেনার। নিজের পরের ওভারেও উইকেটের দেখা পেয়েছেন রিশাদ। এই লেগিকে সুইপ করতে গিয়ে লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন ১ রান করা মিচেল মার্শ।
এর আগে টস হেরে শুরুতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৪০ রান করেছে বাংলাদেশ। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১ রান করেছেন নাজমুল হোসেন শান্ত। তাছাড়া ৪০ রান এসেছে তাওহিদ হৃদয়ের ব্যাট থেকে। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ২৯ রানে ৩ উইকেট শিকার করেছেন প্যাট কামিন্স। তাছাড়া ২ উইকেট পেয়েছেন অ্যাডাম জাম্পা।
ম্যাচের ১২তম ওভার চলাকালে অ্যান্টিগায় আরও একবার বৃষ্টির হানা। এবার বেশ জোরেই। তাতে বন্ধ আছে খেলা। ১১.২ ওভার পর ডিএলএস পদ্ধতিতে ২৮ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া, এ সময়ে পার স্কোর ৭২ রান।
খুলনা গেজেট/এনএম