দ্বিতীয়বারের জন্য জাতিসংঘের মহাসচিব হতে যাচ্ছেন ৭২ বছর বয়সী পর্তুগীজ রাজনীতিবিদ অ্যান্তোনিও গুতেরেস। মঙ্গলবার যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের ভোটাভুটিতে গুতেরেসকে আরেক মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়ার জন্য সুপারিশ করা হয়। এবার শুধু আগামী ১৮ জুন সাধারণ পরিষদ অধিবেশনে চূড়ান্ত অনুমোদনের অপেক্ষা। মূলত নিরাপত্তা পরিষদের সুপারিশই সবসময় পালন করে সাধারণ পরিষদ। ফলে আগামী বছরের ১ জানুয়ারি থেকে শুরু হবে অ্যান্তোনিও গুতেরেসের দ্বিতীয় মেয়াদের কার্যক্রম। জাতিসংঘ মহাসচিব পদটির মেয়াদ পাঁচ বছর।
বান কি মুনের পর ২০১৭ সাল থেকে অ্যান্তোনিও গুতেরেস জাতিসংঘের মহাসচিবের দায়ীত্ব পালন করে আসছেন। ১৯৯৫ সাল থেকে ২০০২ সাল পর্যন্ত তিনি পর্তুগালের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন। এ ছাড়া ২০০৫ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন গুতেরেস। এছাড়াও সোশ্যালিস্ট ইন্টারন্যাশনালের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
গুতেরেস ছাড়াও আরও ১০ জন এ পদের জন্য প্রতিদ্বন্দ্বী হতে চেয়েছিলেন। কিন্তু শুধু পর্তুগাল ছাড়া সদস্য দেশগুলোর কেউই আনুষ্ঠানিকভাবে কারও নাম প্রস্তাব না করায় কেউ প্রার্থী হতে পারেননি।
এক বিবৃতিতে অ্যান্তোনিও গুতেরেস বলেন, আমার ওপর আস্থা রাখায় নিরাপত্তা পরিষদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। সাধারণ পরিষদ দ্বিতীয় মেয়াদে আমার ওপর আস্থা রাখলে আমি বিনীত হব।
রোহিঙ্গা পরিস্থিতি দেখতে ২০১৮ সালে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস, বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট জিম ইয়ং কিম ও আন্তর্জাতিক রেডক্রসের প্রেসিডেন্ট পিটার মরাসহ উচ্চপর্যায়ের পাঁচ ব্যক্তিত্ব বাংলাদেশ সফর করেন। এসময় তারা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এরপর প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে এক অনুষ্ঠানে যোগ দেন জাতিসংঘের মহাসচিব। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে অ্যান্তোনিও গুতেরেস সরাসরি বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শনে যান।
১৯৪৯ সালের ৩০ এপ্রিল পর্তুগালের রাজধানী লিসবনে জন্মগ্রহণ করেন অ্যান্তোনিও গুতেরেস। সেখানেই তার শৈশবকাল অতিবাহিত হয়। তার বাবা ভার্জিলিও ডায়াস গুতেরেস ও মাতা ইল্দা কান্ডিডা দে অলিভেইরা। সূত্র : আল জাজিরা, দ্য নিউইয়র্ক টাইমস।
খুলনা গেজেট/এনএম