ম্যাচের ৩৬ ওভার শেষ। পাকিস্তান-ওয়েস্ট ইন্ডিজের দ্বিতীয় ম্যাচটা তখনো দুলছে পেন্ডুলামের মতো। চার ওভারে চাই ৪৬ রান, হাতে পাঁচ উইকেট, দলে টি-টোয়েন্টি বিশেষজ্ঞদের ছড়াছড়ি; সে কারণে উইন্ডিজকেই মনে হচ্ছিল ফেভারিট। তখনই শাহিন শাহ আফ্রিদির ঝড় দেখল করাচি ন্যাশনাল স্টেডিয়াম। এক ওভারে তিন উইকেট তুলে সফরকারীদের নাড়িয়ে যে দিলেন তিনি, সে ধাক্কা পরে প্রাণপণ লড়েও সামলে উঠতে পারেনি উইন্ডিজ।
শেষমেশ পাকিস্তান ম্যাচটা জিতেছে ৯ রানে। তাতেই এক ম্যাচ হাতে রেখে সিরিজ জয়টাও নিশ্চিত হয়ে যায় স্বাগতিকদের।
আগের ম্যাচে নিকলাস পুরানের দল পাকিস্তানের বিশাল লক্ষ্যের সামনে ভেঙে পড়েছিল তাসের ঘরের মতো। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে সফরকারীরা লড়েছে শেষ পর্যন্তই।
টস জিতে ব্যাট করতে নামা পাকিস্তান ৮ উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে যোগ করে ১৭২ রান। বড় রান করতে পারেনি কেউই। শুরুটা হয়েছিল অধিনায়ক বাবর আজমের উইকেট হারিয়ে। দুই অঙ্কে যাওয়ার আগেই ব্যক্তিগত ৭ রানে সাজঘরে ফেরেন তিনি। এর কিছু পর ফখর জামানও ফেরেন ১০ রান করে। তাতে পাকিস্তানকে খানিকটা নড়বড়েই দেখাচ্ছিল তখন।
তবে এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ান আর হায়দার আলির ৪৮ রানের জুটিতে লড়াকু সংগ্রহের ভিত পায় পাকিস্তান। রিজওয়ান ব্যক্তিগত ৩২ রানে ফিরলেও লড়াইটা জারি রাখেন হায়দার। পেয়েছিলেন ইফতিখার আহমেদের দারুণ সঙ্গ। তবে শেষদিকে শাদাব খানের ঝোড়ো ২৮ রানের ইনিংসে শেষমেশ স্কোরবোর্ডে ১৭২ রান তোলে পাকিস্তান।
জবাবে শুরুতেই শেই হোপকে হারিয়ে বসে উইন্ডিজ। দলীয় ৩১ রানের মাথায় ফেরেন শামরাহ ব্রুকসও। পুরান এরপর ২৬ রান করে দলকে জয়ের দিশা দিচ্ছিলেন। তবে উইন্ডিজের লড়াইয়ের নেতৃত্বটা আসছিল ব্রেন্ডন কিংয়ের কাছ থেকে। ৪৩ বলে ৬৭ করে তিনিও ফেরেন দলকে জয় থেকে ৫৪ রান দূরে রেখে।
পরের ওভারেই সেই শাহিন আফ্রিদির ঝড়। তাতেই মূলত কক্ষপথ থেকে ছিটকে পড়ে সফরকারীরা। তবে রোমারিও শেফার্ড এরপরও একটা চেষ্টা করেছিলেন। তবে লাভ হয়নি। লক্ষ্য থেকে ১০ রান দূরে থামে দলটির ইনিংস। তাতে ৯ রানের জয় নিয়ে সিরিজ নিশ্চিত করে ফেলে পাকিস্তান।