খুলনা, বাংলাদেশ | ১৭ই বৈশাখ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৩০শে এপ্রিল, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  প্রতিনিয়ত যুদ্ধের হুমকিতে থেকে প্রস্তুতি না নেয় আত্মঘাতী : প্রধান উপদেষ্টা
  দুদকের মামলায় বিএনপিনেতা আমানউল্লাহ আমানের ১৩ বছরের সাজা বাতিল করে খালাস দিয়েছেন আপিল বিভাগ
  রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায় হাইকোর্টের রায় ৮ মে
  ৩৬ ঘণ্টার মধ্যে ভারতের হামলার গোয়েন্দা তথ্য আছে : পাকিস্তানের তথ্যমন্ত্রী

আফিফ-সোহানের ব্যাটে ভর করে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ বাংলাদেশের

ক্রীড়া প্রতিবেদক

দুবাইয়ে ব্যাট হাতে ফের একবার বাংলাদেশের ত্রাতা হিসেবে হাজির হলেন আফিফ হোসেন। এই বাঁহাতি ব্যাটারের দারুণ ব্যাটিংয়ে অনেকটাই ঢাকা পড়ে গেছে দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষেই টাইগারদের অসহায় আত্মসমর্পণ। সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে প্রথম টি-টোয়েন্টিতে আফিফের ব্যাটে ভর করে বাংলাদেশ নির্ধারিত ২০ ওভার শেষে ৫ উইকেটের বিনিময়ে সংগ্রহ করেছে ১৫৮ রান।

দুবাইয়ে রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) টস হেরে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ওভারেই শূন্য রানে সাজঘরে ফেরেন সাব্বির রহমান। ওপেনারের ভূমিকায় প্রত্যাবর্তনের পর ব্যাট হাতে দু ম্যাচেই ব্যর্থ হলেন তিনি। দলীয় ১১ রানে প্রথম উইকেট দ্বিতীয় উইকেট হারায় ২৬ রানের মাথায়। দারুণ ব্যাট করতে থাকা লিটন ফেরেন ১৩ রান করেই।

আরেক ওপেনার মেহেদী হাসান মিরাজ মন্থর ব্যাটিং করলেও নিজের উইকেট বাঁচাতে পারেননি। পঞ্চম ওভারে দলীয় ৩৫ রানে আউট হয়ে যান তিনি। ১৪ বলে ১২ রান করা মিরাজ জাওয়ার ফরিদের বলে এগিয়ে এসে বড় শট খেলতে গিয়ে তার হাতেই ক্যাচ দেন।

ব্যর্থ হয়েছেন ইনজুরি থেকে ফিরে দীর্ঘদিন পর খেলতে নামা ইয়াসির রাব্বিও। মাত্র ৪ রান করে মেইয়াপ্পানের বলে বোল্ড হয়ে যান তিনি। বাংলাদেশের সংগ্রহ তখন মোটে ৪৭ রান।

সতীর্থদের আসা যাওয়ারে মধ্যেই দারুণ ব্যাট করছিলেন আফিফ হোসেন। মোসাদ্দেকের সঙ্গে পঞ্চম উইকেটে ৩০ রানের পার্টনারশিপ করেন তিনি। এখানে অবশ্য মোসাদ্দেকের অবদান মোটে ৩ রান। ১১তম ওভারে দলীয় ৭৭ রানে আউট হন ৩ রান করা মোসাদ্দেক। মেইয়াপ্পানের বলে স্ট্যাম্পিংয়ের শিকার হন তিনি।

এরপর অধিনায়ক সোহানের সঙ্গে ফের জুটি গড়েন আফিফ। ব্যাট হাতে আফিফ দৃষ্টিনন্দন শটের পসরা বসালেও সোহান সংগ্রাম করছিলেন রান খুঁজে নিতে। এই জুটিতে ৫৪ বলে ৮১ রান যোগ হয় বাংলাদেশের স্কোরকার্ডে।

৫৫ বলে ৭৭ রান করে অপরাজিত থাকেন আফিফ। তার ইনিংসে ছিল ৭টি চারের পাশাপাশি ৩টি ছয়ের মার। অধিনায়ক সোহান ২৫ বলে সমান ২ চার ও ছয়ে ৩৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

স্বাগতিকদের পক্ষে চার ওভার বল করে ৩৩ রান দিয়ে ২ উইকেট নেন কার্তিক মেইয়াপ্পান। সাবির আলী, আয়ান আফজাল খান ও জাওয়ার ফরিদ বাকি তিনটি উইকেট ভাগাভাগি করে নেন।




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!