খুলনা, বাংলাদেশ | ২৪ পৌষ, ১৪৩১ | ৮ জানুয়ারি, ২০২৫

Breaking News

  জাতীয় নির্বাচনের পাশাপাশি স্থানীয় সরকার নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে অন্তবর্তী সরকার
  কাল থেকে বিডিআর বিদ্রোহের আসামীদের বিচার হবে কেরানীগঞ্জ কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী আদালতে : প্রজ্ঞাপন
  উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে খালেদা জিয়া, স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান ও জোবাইদা রহমান

আফিফ-মুশফিক-ইরফানের ব্যাটে বড় সংগ্রহ শান্ত বাহিনীর

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপের চতুর্থ ম্যাচে মাহমুদউল্লাহ একাদশের বিপক্ষে ২৬৪ রানের বিশাল সংগ্রহ দাঁড় করিয়েছে নাজমুল একাদশ। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে আফিফ হোসেন ধ্রুব, মুশফিকুর রহিম এবং ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে বড় সংগ্রহ পায় শান্ত বাহিনী।

মিরপুর শের-ই-বাংলায় টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে শুরুতে বিপর্যয়ের মুখে পড়ে নাজমুল একাদশ। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ৪ বলে ৮ রান করা সৌম্যের বিদায়ে বিপর্যয়ের শুরু। দলীয় রান তখন মাত্র ১৩। অধিনায়ক শান্তও পারেননি ভালো কিছু করতে। দলীয় ২৭ রানে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন প্যাভিলিয়নে। দুটি উইকেটই নেন রুবেল হোসেন।

প্রতিযোগিতায় প্রথমবারের মতো মাঠে নামা পারভেজ হোসেন ইমন দারুণ শুরুর প্রত্যাশা জাগিয়েও ব্যর্থ হোন। সুমন খানের বলে দলীয় ৩১ রানে ফেরেন তিনি। তার আগে ২১ বলে ৪ চারে করেন ১৯ রান। ৮ ওভারের মধ্যে তিন উইকেট হারিয়ে দলের বিপর্যয় এড়াতে লড়াই শুরু করেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম এবং আফিফ হোসেন ধ্রুব।

এরপর কী দুর্দান্ত ইনিংসটাই না খেলছিলেন আফিফ হোসেন! নিশ্চিত শতক হাতছানি দিচ্ছিল এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যানকে। শতক থেকে আর এক শট দূরেই ছিলেন। কিন্তু তার আগেই সতীর্থ মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ভুল বোঝাবুঝিতে রান আউটে কাঁটা পড়ে ফিরলেন। অবশ্য এক্ষেত্রে প্রতিপক্ষ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহকেও কৃতিত্ব দেওয়া লাগে। দারুণ ক্ষিপ্রতায় বল থামিয়ে নন-স্ট্রাইক প্রান্তে রান আউটে শিকার করেন আফিফকে।

ফেরার আগে ১০৭ বলে ১২ চার ও ১ ছয়ে ৯৮ রান করেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। শুরুর বিপর্যয় কাটিয়ে মুশফিকের সঙ্গে গড়েছেন ১৪৭ রানের বিশাল জুটি। আফিফ শতকের আক্ষেপ নিয়ে ফিরলেও আগের ম্যাচের ফর্ম এই ম্যাচেও টেনে নিয়ে এসেছেন মুশফিক।

আরেকটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন এই লিটল মাস্টার। দেখে শুনে খেলা মুশফিক ফিফটি ছুঁয়েছেন ইবাদত হোসেনকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। ম্যাচে মুশফিকের সেটিই ছিল প্রথম বাউন্ডারির মার। তবে ফিফটি ছুঁয়ে ফিরেছেন তিনিও। শিকার করেছেন ইবাদতই।

এরপর ইরফান শুক্কুর এবং তৌহিদ হৃদয়ের ব্যাটে এগুতে থাকে নাজমুল একাদশ। এই দুই ব্যাটসম্যান ৭ ওভারে ৭০ রানের জুটি গড়েন। যেটি ভাঙে হৃদয় ২৭ রান করে ফিরলে। তবে শেষ পর্যন্ত ইরফানের ৩১ বলে ৪ চার ও ২ ছক্কায় অপরাজিত ঝড়ো ৪৮ রানে ভর করে নাজমুল একাদশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ২৬৪/৮। মাহমুদউল্লাহ একাদশের হয়ে রুবেল ৫৩ রানে ৩ উইকেট নেন। এছাড়া ইবাদত ৬০ রানে ২ উইকেট এবং সুমন ৫২ রানে ১ উইকেট নেন।

 

খুলনা গেজেট/এএমআর




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!