২৮ রান তুলতেই অর্ধেক ইনিংস হাওয়া, তখন উইকেটে আগমন আফিফ হোসেনের। এর কিছু পর ৪৪ রান তুলতে যখন ৬ উইকেট হারিয়ে খাদের কিনারে বাংলাদেশ, তখন ব্যাট করতে আসেন মেহেদি হাসান মিরাজ। দুজনের ব্যাটে ভর করেই শুরুর বিপর্যয়টা সামলেছে বাংলাদেশ। তাদের জুটি বাংলাদেশকে দেখাচ্ছে আশাও। কিছুটা স্বস্তিতে রয়েছে টাইগাররা।
২১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ শুরুতেই পড়ে বিপাকে। ইনিংসের তৃতীয় ওভারে ফজলহক ফারুকির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন লিটন দাস। এর এক বল পর তামিমও ফেরেন তার শিকার হয়েই। দুটো উইকেটেই শুরুতে আবেদন নাকচ করে দিয়েছিলেন আম্পায়ার। তবে এরপর রিভিউ নিয়ে সফল হয় আফগানরা।
এক ওভার পর আবারও আক্রমণে আসেন ফারুকি। এবার তুলে নিলেন মুশফিককে। আম্পায়ার শুরুতে আউট দিলেও এরপর রিভিউ নেয় বাংলাদেশ। সেই রিভিউতেও অবশ্য মুশফিকের ভাগ্য বদলায়নি। উলটো বাংলাদেশ রিভিউ হারিয়েছে একটা। সেই ওভারের শেষ বলে দারুণ এক বলে তিনি শিকার করেন অভিষিক্ত ইয়াসির আলীকে।
কিছুক্ষণ পর সাকিব আল হাসানও ফেরেন মুজিব উর রহমানকে কাট করতে গিয়ে বোল্ড হয়ে। এরপর মাহমুদউল্লাহ বিদায় নেন রশিদ খানের বিদায় হয়ে।
এরপরই শুরু আফিফ-মিরাজের প্রতিরোধের। আস্কিং রেটটা চারের আশেপাশে ছিল। উইকেট ধরে রাখার পাশাপাশি এখানেও ভালো মনোযোগ ছিল দুজনের। ফলে আস্কিং রেটটা এখনো আছে আগের মতোই।
দুজনের জুটি ইতোমধ্যেই ছাড়িয়ে গেছে ৫০ রানের চৌকাঠ। একটু পর বাংলাদেশও ছুঁয়ে ফেলেছে শতরানের মাইলফলক। এই প্রতিবেদন লেখার আগ পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ২৬তম ওভারে ৬ উইকেট খুইয়ে ১১২ রান।