আফগানিস্তানে একটি মসজিদে বোমা হামলায় ৩৩ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৪৩ জন। হতাহতদের মধ্যে শিশুরাও রয়েছে।
শুক্রবার (২২ এপ্রিল) নামাজের সময় দেশটির কুন্দুজ শহরের ওই মসজিদে হামলার এই ঘটনা ঘটে। আফগান কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত কয়েকদিনের মধ্যে উত্তরাঞ্চলীয় এই শহরটির মৌলভী সিকান্দার সুফি মসজিদে এটি দ্বিতীয় কোনো হামলার ঘটনা। এর আগে গত বৃহস্পতিবার আফগানিস্তানজুড়ে চারটি বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। সেসব হামলার সবগুলোরই দায় স্বীকার করেছে আন্তর্জাতিক জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেট (আইএস)।
আফগানিস্তানের ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী তালেবান বলেছে যে, তারা জঙ্গিগোষ্ঠী আইএসকে পরাজিত করেছে। কিন্তু আন্তর্জাতিক এই সন্ত্রাসী গোষ্ঠীটি আফগানিস্তানের নতুন শাসকদের কাছে এখনও একটি প্রধান নিরাপত্তা চ্যালেঞ্জ হিসেবে রয়ে গেছে। অবশ্য শুক্রবার কুন্দুজের মসজিদে নামাজ পড়তে জড়ো হওয়া মুসল্লিদের ওপর চালানো এই হামলার দায় এখনও কেউ স্বীকার করেনি।
স্থানীয় এক ব্যবসায়ী বার্তাসংস্থা এএফপি’কে বলেছেন, ‘(হামলার পর) মসজিদের দৃশ্যটি ছিল ভয়াবহ।’
বিবিসি বলছে, শুক্রবারের এই হামলাটি বৃহস্পতিবার মাজার-ই-শরীফ শহরের একটি মসজিদে হওয়া হামলার মতো একই ধরনের ছিল। বৃহস্পতিবারের ওই হামলায় কমপক্ষে ৩১ জন নিহত এবং ৮৭ জন আহত হয়েছিলেন। অন্যদিকে বৃহস্পতিবারের পৃথক একটি বোমা হামলায় কুন্দুজে চারজন নিহত এবং ১৮ জন আহত হন।
এসব হামলার দায় স্বীকার করে আইএস বলেছিল, এটি তাদের সাবেক নেতা ও মুখপাত্রের মৃত্যুর ‘প্রতিশোধ’ নেওয়ার জন্য বিশ্বব্যাপী চলমান হামলার একটি অংশ। অবশ্য গত আগস্টে তালেবান ক্ষমতায় আসার পর থেকে আফগানিস্তানে বোমা হামলার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে হ্রাস পেয়েছে।
পাকিস্তান থেকে বিবিসির সেকেন্দার কেরমানি বলছেন, আফগানিস্তানে আইএস কোনো এলাকা বা অঞ্চল নিয়ন্ত্রণ করে না, কিন্তু তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী তালেবান গোষ্ঠী ক্ষমতা গ্রহণ করার পর থেকে জঙ্গিগোষ্ঠীটি এমন সব এলাকায় হামলা চালাচ্ছে যেখানে আগে কখনোই তাদের উপস্থিতি ছিল না।
খুলনা গেজেট/ এস আই