আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজে হোয়াইটওয়াশের আশা জাগিয়েও শেষমেশ সিরিজ জিতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে। টিম টাইগার্সের সামনে এবার মিশন টি-টোয়েন্টি। যদিও সংক্ষিপ্ত এ সংস্করণটিতে বাংলাদেশের চেয়ে কাগজে-কলমে ঢের শক্তিশালী রশিদ-নবীরা।
আইসিসির টি-টোয়েন্টি র্যাঙ্কিংয়েও বাংলাদেশের চেয়ে এগিয়ে আফগানিস্তান। তবে ৩ মার্চ থেকে শুরু হতে যাওয়া দুই ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজটিতে আফগানদের ছাড়িয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ বাংলাদেশের সামনে। যদি সিরিজ জিততে পারে তবে র্যাঙ্কিংয়ে সফরকারীদের ছাড়িয়ে যাবে মাহমুদউল্লাহ বাহিনী।
আইসিসির সবশেষ আপডেট করা র্যাঙ্কিং অনুযায়ী, ২৩১ রেটিং নিয়ে ৯ম স্থানে বাংলাদেশ। লাল-সবুজ বাহিনীর চেয়ে এক ধাপ এগিয়ে তথা ৮ম স্থানে রয়েছে আফগানিস্তান। তাদের রেটিং পয়েন্ট ২৩২। দুই ম্যাচ সিরিজের দুটিতে জিতলে বাংলাদেশের রেটিং হবে ২৩৩। আর সেই সঙ্গে আফগানদেরও ছাড়িয়ে যাবে তারা। কারণ তখন রশিদদের রেটিং হবে ২২৭। যা তাদের নামিয়ে দেবে ১০ স্থানে।
তবে সিরিজটি ড্র হলে কোনো দলেরই অবস্থার পরিবর্তন হবে না। এ ছাড়া বাংলাদেশ যদি ২-০ তে হারে সেক্ষেত্রে ২২৮ রেটিং নিয়ে আরও একধাপ নিচে নেমে যাবে।
বাংলাদেশের জন্য যেমন সিরিজটি দারুণ সুযোগ, তেমনি আফগানদের জন্যও রেটিং বাড়িয়ে নেওয়ার মোক্ষম সুযোগ।
এর আগে প্রথম দুই ওয়ানডে জয়ের পর শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশের মিশনে খেলতে নেমে উল্টো ভরাডুবি ঘটেছে। ২০১৬ সালে আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম দ্বিপাক্ষিক ওয়ানডে সিরিজ খেলেছিল বাংলাদেশ। হোয়াইটওয়াশের আশা জাগালেও সেবার ২-১ ব্যবধানে সিরিজ জয় নিয়ে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মাশরাফী বিন মোর্ত্তজার নেতৃত্বাধীন দলকে।
এবার ওয়ানডের ‘আর্মব্যান্ড’ তামিম ইকবালের হাতে ছিল। আফগানদের বিপক্ষে চলতি ওয়ানডে সিরিজে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে আশা জাগিয়েছিল প্রথমবারের মতো হোয়াইটওয়াশের লজ্জা উপহার দেওয়ার। কিন্তু এবারও পারলেন না তামিমরা। স্বাগতিকদের বিপক্ষে তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে সোমবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) আফগানদের জয় ৭ উইকেটের বিশাল ব্যবধানে। অন্যদিকে, সিরিজ জয় নিয়েই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছে বাংলাদেশকে।
খুলনা গেজেট/কেএ