নেটে অনুশীলনের সময় মাথায় বলের আঘাত পান কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। রক্তাক্ত অবস্থায় চট্টগ্রামের ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয় এই পেসারকে। সিটি স্ক্যান করে জানা গেছে, অভ্যন্তরীণ কোনো ইনজুরি নেই। তবে মাথা ফেটে যাওয়ায় সেলাই করতে হচ্ছে।
এর আগে আগামীকালের ম্যাচকে সামনে রেখে সাগরিকায় অনুশীলন করছিল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ক্রিকেটাররা। সেখানে অনুশীলনে বল করছিলেন মোস্তাফিজ। একটি ডেলিভারির পর যখন আরেকটি ডেলিভারির জন্য ফিরে যাচ্ছিলেন, তখনই লিটন দাসের মারা একটি শটে মাথায় আঘাত পান মোস্তাফিজুর রহমান। বলের আঘাতে মাথা থেকে রক্তও বের হতে দেখা যায়।
এমন সময় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মোস্তাফিজ। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাকে অ্যাম্বুলেন্সে করে নেওয়া হয় অ্যাপোলো ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে। বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী সমকালকে বলছিলেন, ‘চট্টগ্রামের অ্যাপোলো ইমপেরিয়াল হাসপাতালে সিটি স্ক্যান চলছে মোস্তাফিজের। এমনিতে স্বাভাবিক আছে। প্রাথমিক পরীক্ষায় মাঠে যে ডাক্তার আছেন উনিও দেখেছেন। মোস্তাফিজের মাথা কেটে গেছে। তবে গুরুতর নয়। ইমপেরিয়ালের জরুরি বিভাগের ডাক্তাররাও দেখেছে, ওরা তেমন খারাপ কিছু পায়নি। সিটি স্ক্যানের রিপোর্ট পেলে আরও ভালো ভাবে বোঝা যাবে।’
ইম্পেরিয়াল হাসপাতালের পরীক্ষানিরীক্ষা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে দলটির ফিজিও জাহিদুল ইসলাম বলেছেন, ‘আঘাতের পর তাৎক্ষণিকভাবে রক্ত পড়া থামাতে মোস্তাফিজের মাথায় ব্যান্ডেজ করা হয়। পরে দ্রুত ইম্পেরিয়াল হাসপাতালে নিয়ে করা হয় সিটি স্ক্যান। সিটি স্ক্যানের পর আমরা সন্তুষ্ট যে, এটা কেবলই বাহ্যিক ইনজুরি। অভ্যন্তরীন কোনো রক্তক্ষণ নেই। বর্তমানে তিনি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের ফিজিও টিমের নিবিড় তত্ত্বাবধানে আছেন। এছাড়া তার ক্ষতে সেলাই লাগানো হয়েছে । সার্জিক্যাল টিম ক্ষতস্থানে সেলাই করে দিয়েছে।’
এবারের বিপিএলে এখন পর্যন্ত ৯ ম্যাচ খেলেছেন মোস্তাফিজ। তার শিকার ১১ উইকেট। ৩২ রান দিয়ে ৩ উইকেট ছিল এবারের বিপিএলে মোস্তাফিজের সেরা বোলিং।
খুলনা গেজেট/এনএম