সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আপাতত ভারতেই থাকছেন। গুঞ্জন ছিল তিনি দ্রুত সময়ের মধ্যে ভারত ছেড়ে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওয়ানা হবেন। কিন্তু তাকে রাজনৈতিক আশ্রয় দেওয়ার ব্যাপারে যুক্তরাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি। এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র তার ভিসা বাতিল করায় ছেলের কাছে যাওয়ার সম্ভাবনা শেষ হয়ে গিয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর গতকাল মঙ্গলবার এক সর্বদলীয় বৈঠকে বলেছেন, ভারত বাংলাদেশের সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছে। তিনি গত সোমবার এক ‘শর্ট নোটিশ’-এ ভারতে এসেছেন। তিনি এখনো স্বাভাবিক হতে পারেননি। স্বাভাবিক হতে এবং ভবিষ্যতের পদক্ষেপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য তাকে সময় দেওয়া হয়েছে।
ভারতীয় গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, শেখ হাসিনা এখন ভারত সরকারের একটি সেফ হাউজে অবস্থান করছেন। সোমবার তিনি যে বিমানে চড়ে ভারতে গিয়েছিলেন, সেই বিমানটি তাকে রেখে গতকাল গাজিয়াবাদের হিন্দন বিমানঘাঁটি ত্যাগ করেছে। তিনি লন্ডনের উদ্দেশে ভারত ছেড়ে যেতে পারেন। আশ্রয়ের জন্য তিনি যুক্তরাজ্য কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ রাখছেন। কিন্তু এখনো তার আশ্রয়ের আবেদন গৃহীত হয়নি।
উইওনের এক খবরে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি বাংলাদেশে সহিংসতার বিষয়ে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্তের আহ্বান জানিয়েছেন। তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যুক্তরাজ্যে আশ্রয়ের আবেদন এখনো গ্রহণ করা হয়েছে কি না, সে বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, সহিংসতা বন্ধ করতে, শান্তি ফিরিয়ে আনতে, পরিস্থিতি শান্ত করতে এবং আরো কোনো প্রাণহানি ঠেকাতে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
শেষ পর্যন্ত ব্রিটেন শেখ হাসিনার আশ্রয় আবেদন গ্রহণ না করলে তিনি ভারতেই থাকবেন নাকি অন্য কোনো দেশে যাবেন, তা নিয়ে এখনো ধোঁয়াশা কাটেনি। ভারতীয় গণমাধ্যমগুলোর তথ্য অনুযায়ী, শেখ হাসিনাকে সাময়িক সময়ের জন্য ভারতে থাকার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। ফলে তাকে হয়তো অন্যদেশে যেতে হতে পারে। এক্ষেত্রে তিনি বেলারুশ যেতে পারেন বলে গুঞ্জন রয়েছে।
শেখ হাসিনার যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বাতিল!
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভিসা বাতিল করেছে। গতকাল মঙ্গলবার একটি কূটনৈতিক সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে। তবে ভিসা প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেনি ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস। শেখ হাসিনার ভিসা যুক্তরাষ্ট্র প্রত্যাহার করেছে কি না, সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে দূতাবাসের মুখপাত্র স্টিফেন ইবেলি বলেন, ‘ভিসা রেকর্ড মার্কিন আইনের অধীনে একটি গোপনীয় বিষয়। সেজন্য আমরা পৃথক ভিসা মামলার বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করি না।’