বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী বরকত উল্লাহ বুলু বলেছেন, গত বছর যুক্তরাষ্ট্রে গণতন্ত্র সম্মেলন হয়েছে। সেই সম্মেলনে এই উপমহাদেশের পাকিস্তান, নেপালও দাওয়াত পেয়েছে। একমাত্র বাংলাদেশ দাওয়াত পায়নি। গত বছরও পায়নি, তার আগের বছরও পায়নি। এতেই প্রমাণ হয় দেশে গণতন্ত্র নেই। গণতন্ত্রবিহীন একটি রাষ্ট্র চলছে।
শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে কেডি ঘোষ রোডস্থ বিএনপি কার্যালয়ের সামনে গ্যাস, বিদ্যুৎ, তেলসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য বৃদ্ধির প্রতিবাদ ও সরকারের পদত্যাগসহ ১০ দফা দাবিতে পদযাত্রা পুর্ব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তব্যে সমালোচনা করে বলেন, বিদেশী প্রভুদের কাছে বিএনপি নয়; আওয়ামী লীগই ধর্ণা দিচ্ছে। বর্তমান ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ চায় ২০১৪ ও ২০১৮ সালের মত নির্বাচন করে আবারও ক্ষমতায় থাকতে। কিন্তু বাংলাদেশে হাসিনার অধিনে আর কোন নির্বাচন হতে দেয়া হবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনেই আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। দেশের জনগণ রাজপথে নেমে এসেছে। সরকারের বিদায় না হওয়া পর্যন্ত তারা আর ঘরে ফিরে যাবে না।
তিনি বলেন, ১০ দফা থেকে আমাদের এক দফায় নেমে আসতে হবে। সেই এক দফায় সরকারের পতন ঘটিয়ে একটি নির্দলীয়, নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে। এছাড়া দেশে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না। এই লক্ষ্যে আজকে দেশপ্রেমিক সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছে।
খুলনা মহানগর বিএনপির আহবায়ক এড. শফিকুল আলম মনার সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ও সাবেক মন্ত্রী এড. নিতাই রায় চৌধুরি, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক রকিবুল ইসলাম বকুল, তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু ও সহ ধর্মবিষয়ক সম্পাদক অমলেন্দু দাশ অপু।
খুলনা মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিনের পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, খুলনা জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক আবু হোসেন বাবু, স ম আব্দুর রহমান, খান জুলফিকার আলী জুলু, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, আবুল কালাম জিয়া, চৌধুরি শফিকুল ইসলাম হোসেন, শেখ তৈয়েবুর রহমান, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, মোল্লা মোশারফ হোসেন মফিজ, আশরাফুল আলম খান নান্নু, এনামুল হক সজল প্রমূখ।
সমাবেশ শেষে দলীয় কার্যলয়ের সামনে থেকে পথযাত্রা শুরু হয়ে স্টেশন রোড, পাওয়ার হাউজ মোড়, ফেরিঘাট, ডাকবাংলো মোড়, পিকচার প্যালেস ঘুরে দলীয় কার্যালয়ে এসে শেষ হয়।
খুলনা গেজেট/ এসজেড