কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু’গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন অন্তত দু’জন। তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তবে আহতদের পরিবারের দাবি নৌকার পক্ষে নির্বাচন করায় স্বতন্ত্র প্রার্থী ট্রাক সমর্থকদের লোকজন তাদের ওপর হামলা চালায়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, বেশ কিছুদিন ধরে কুমারখালী উপজেলার কয়া ইউনিয়নের বেড়কালোয়া গ্রামের কেদো শেখের ছেলে জিয়ারুল ও ইয়ারুলের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে মুক্তিযোদ্ধা খালেক মেম্বারের বিরোধ চলে আসছিল। তারই জেরে সকালে সুলতানপুর পদ্মা নদীর ধারে ইয়ারুল, জিয়ারুল ও খালেক মেম্বরের কর্মী সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে ধারালো অস্ত্র ও লাঠিসোটার আঘাতে গুরুতর জখম হন জিয়ারুল ও ইয়ারুল। তাদেরকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে আহত ও তাদের পরিবারের দাবি তারা গুলিবিদ্ধ হয়েছেন। তারা ৭ জানুয়ারীর নির্বাচনে নৌকার পক্ষে কাজ করেছেন।
কুমারখালী থানার অফিসার ইনচার্জ আকিবুল ইসলাম জানান, আধিপত্য বিস্তার নিয়ে জিয়ারুল ও খালেক মেম্বর গ্রুপের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল বেশ কিছুদিন ধরে। তারই জের ধরে শুক্রবার ভোরে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। তবে নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সহিংস ঘটনা নয়। পূর্ব বিরোধের জের ধরেই এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
খুলনা গেজেট/ টিএ