রামপাল উপজেলার আড়ুয়াডাঙ্গার এলাকার জনৈক আহাদ আলীর ছেলে মো: ফজলু শেখ। সরকারের আহবানে দুস্যতা ছেড়ে আত্মসমর্পন করেছিল। ছাড়া পাওয়ার পর তিনি আবারও সুন্দরবনে ফিরে দুস্যুতা শুরু করেন। তার বাহিনীর সদস্য সংখ্যা ৫। কিন্তু মঙ্গলবার পুলিশের হাতে বাহিনী প্রধান ফজলুসহ চারজন অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার হয়। তবে অপর এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। তাকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে অভিযান অব্যাহত রেখেছে পুলিশ। মঙ্গলবার বিকেলে সংবাদ সম্মেলন করে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক।
এসময়, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোঃ আছাদুজ্জামান, মোঃ রাসেলুর রহমান, পুলিশ পরিদর্শক এসএম আশরাফুল আলমসহ পুলিশ কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, সুন্দরবন চাঁদপাই রেঞ্জের শ্যালা নদী সংলগ্ন সূর্যমখী খাল থেকে মোংলা থানা ও জেলা গোয়েন্দা পুলিশ যৌথ অভিযানে দস্যু প্রধান ফজলুসহ ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি পুরাতন ডিঙ্গি নৌকা, একটি দেশিয় তৈরি একনলা বন্দুক, দেশিয় তৈরি ওয়ান সুটার গান, সাতটি সীসার কার্তুজ, দু’টি কাঠের বাটসহ রামদা, দু’টি লোহার হাতুড়ী, একটি লোহার পাইপ, চারটি টর্চ লাইট, চারটি পুরাতন গামছা, ১০ টুকরো নাইলনের রশি, দু’টি টেপ, চারটি বিভিন্ন সাইজের লাঠি ও দু’টি মানকি টুপি উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় জেলা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় অস্ত্র আইনে মামলা করেছেন। তিনি আরও বলেন, বনদস্যু ফজলু শেখ আত্মসমর্পনকৃত দস্যু হিসেবে পুনর্বাসনের জন্য সরকারি সহযোগিতা পেয়েছেন। এরপরেও সে দস্যুতার সাথে লিপ্ত হয়েছে। ফজলু বাহিনীর অন্য যে সদস্য রয়েছে, তাকে আটকের জন্য আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া দস্যুরা কি বরগুনার জেলে অপহরণের সাথে জড়িত কিনা এমন প্রশ্নে পুলিশ সুপার বলেন, তাদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। এছাড়া আদালতের কাছে তাদের রিমান্ড আবেদন করা হবে। আদালত রিমান্ড মঞ্জুর করলে, নানা আইনি প্রক্রিয়া রয়েছে। সেসব আইনি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানান পুলিশ সুপার।
গ্রেপ্তার হওয়া অন্যান্য সদস্যরা হল, শিকিরডাঙ্গা এলাকার মো: মোতালেব শেখের ছেলে মজনু শেখ, পেড়িখালীর জোনাব আলী মোড়লের ছেলে শাহাদাৎ মোড়ল ও জিগিরমোল্লা এলাকার নজরুল শেখের ছেলে ফয়সাল শেখ।
খুলনা গেজেট/ এসজেড