খুলনা চেম্বার অফ কমার্সের সাবেক সভাপতি ও নগর জাতীয় পার্টির সাবেক সাধারণ সম্পাদক শেখ আবুল কাশেম হত্যা মামলা আট মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশনা ছিল হাইকোর্টের। সে সময় অনেক আগেই পার হয়েছে। হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ২ আগষ্ট এ নির্দেশনা দেন।
খুলনার এ চাঞ্চল্যকর মামলা ২৬ বছর ধরে চলছে। ১৯৯৫ সালের ২৫ এপ্রিল খুলনা থানার সন্নিকটে নগর জাপা নেতা ও পশ্চিম বানিয়াখামারের হাজী বাড়ির সন্তান শেখ আবুল কাশেম দুপুর পৌনে ২টায় খুন হন। পরদিন ২৬ এপ্রিল খুলনা নগরীতে সকাল-সন্ধ্যা হরতাল পালিত হয়। পরদিন নিহতের নিকট আত্নীয় রূপসা উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের মৎস্য ব্যবসায়ী শেখ আলমগীর হোসেন বাদি হয়ে মামলা দায়ের করেন। বাদি ইতিমধ্যেই ইন্তেকাল করেছেন। গত ২৬ বছরে স্থানীয় রাজনীতিকরা এ হত্যার সুষ্ঠু বিচার দাবি করে আসছেন। বিশেষ করে জাতীয় পাটির প্রয়াত চেয়ারম্যান জেনারেল এইচ এম এরশাদ খুলনা সফরে এলে কাশেম হত্যার দ্রুত বিচার দাবি করতেন। জাতীয় সংসদে এ দাবি উত্থাপন হয়েছে। আসামীপক্ষ উচ্চ আদালতে রিট করে। আদালত এ মামলার ওপর স্টে অর্ডার দেন। ২০১৮ সালের ২ আগষ্ট হাইকোর্ট স্টে অর্ডার ভ্যাকেট করে। বিচারপতি মনিরুল ইসলাম চৌধুরী ও খিজির হায়াতের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদেশে বলা হয়, ৮ মাসের মধ্যে মামলা নিষ্পত্তি করতে হবে। উচ্চ আদালতের নির্দেশনা সোমবার খুলনার জননিরাপত্তা বিঘ্নকারী অপরাধ দমন ট্রাইবুনালে পৌঁছায়। ট্রাইবুনালের জজ মোঃ সাইফুজ্জামান উচ্চ আদালতের আদেশ পাওয়ার পর এ মামলার দ্রুত নিষ্পত্তির উদ্যোগ নিয়েছেন। ২৬ জানুয়ারি মামলার সাক্ষি গ্রহণ।
খুলনার চাঞ্চল্যকর এ মামলায় আসামীরা হচ্ছেন সাবেক সংসদ সদস্য আব্দুল গফ্ফার বিশ্বাস, তরিকুল হুদা টপি, মফিজুর রহমান, ওয়াসিকুর রহমান, মুশফিকুর রহমান, আনিছুর রহমান ওরফে মিল্টন ও মো. তারেক।
আদালতের পিপি আরিফ মাহমুদ খুলনা গেজেটকে জানান, সাক্ষীদের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তা, অপর সাক্ষী কেসিসি’র কমিশনার আছাদুজ্জামান লিটু মারা গেছেন। আসামীদের মধ্যে সৈয়দ মনিরুল ইসলাম ও কেসিসি’র সাবেক ডিপুটি মেয়র ইখতিয়ার উদ্দিন বাবলুও মারা গেছেন।
খুলনা গেজেট/এ হোসেন