বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে দেশজুড়ে টানা দুদিনের যে বৃষ্টি দেখা যাচ্ছে, তা আজ শুক্রবার থেকে কমে আসতে পারে বলে আভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এর সঙ্গে বাড়তে পারে গরম।
এদিকে টানা এই বৃষ্টিতে তিস্তাসহ বিভিন্ন অঞ্চলের নদীর পানি বাড়ছে বলে জানিয়েছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্র। এর ফলে তিস্তা অববাহিকার নিম্নাঞ্চল ও চরাঞ্চল প্লাবিত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত দেশের সব নদীর পানি বিপৎসীমার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আবহাওয়াবিদ এ কে এম নাজমুল হক বলেন, বৃষ্টি থাকবে না এমন নয়। তবে শুক্রবার থেকে কমে আসবে। এরপর তাপমাত্রা বাড়তির দিকে যাবে। কিন্তু গত কয়েকদিন যেমন গরম ছিল, এমন গরম পড়বে না আশা করছি। অক্টোবরের ১ বা ২ তারিখের দিকে আবার বৃষ্টি বাড়তে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের কর্মকর্তা আফরোজা সুলতানা বলেন, তাপমাত্রা বাড়লে অস্বস্তিকর গরমের অনুভূতিও বাড়বে। তাপমাত্রা বেড়ে কত হতে পারে—এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ৩৪ থেকে ৩৫ ডিগ্রির বেশি হবে না।
কয়েকদিন ধরে বঙ্গোপসাগরে তৈরি লঘুচাপের প্রভাবে দেশে বৃষ্টি ঝরছে। টানা দুদিন থেমে থেমে ঝরা বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে পড়ে নগরবাসী। বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট জলাবদ্ধতা ও যানজটে চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে তাদের। বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় দীর্ঘ যানজটের।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১৫৭ মিলিমিটার বৃষ্টি ঝরেছে নীলফামারীর সৈয়দপুরে। এ ছাড়া দিনাজপুরে ১৫০, রংপুরে ১০৩, তেঁতুলিয়ায় ১০৩, বাগেরহাটের মোংলায় ১০২, সিরাজগঞ্জের বাঘাবাড়িতে ১০১, ডিমলায় ১০০, যশোরে ৮৮ মিলিমিটারসহ সারা দেশে কমবেশি বৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত ২৪ ঘণ্টায় ১ থেকে ১০ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে হালকা, ১১ থেকে ২২ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি, ২৩ থেকে ৪৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে তাকে মাঝারি ধরনের ভারি, ৪৪ থেকে ৮৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হলে ভারি এবং ৮৮ মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড হলে তাকে বলা হয় অতিভারি বৃষ্টিপাত।
এদিকে বন্যা পূর্বাভাস কেন্দ্র জানিয়েছে, দেশের কোনো নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে না বইলেও ওই সময় ১১৬টি স্টেশনের মধ্যে ৭৬টি পয়েন্টে পানি বাড়ার প্রবণতা দেখা গেছে। আর কমছিল ৩৩ পয়েন্টে এবং অপরিবর্তিত ছিল সাত পয়েন্টে।
খুলনা গেজেট/এইচ