জুলাইয়ে স্বাভাবিকের তুলনায় ১৭ শতাংশ কম বৃষ্টি হয়েছে। তবে আগস্টের শুরুতে বৃষ্টি বেড়েছে। গত পরশুর তুলনায় গতকাল শুক্রবার বৃষ্টি বেড়ে প্রায় দ্বিগুণ হয়েছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী, আজ শনিবার ও আগামীকাল রোববার বৃষ্টি কমে আসতে পারে। দুই দিন বিরতি দিয়ে আবারও অঝোর ধারায় বৃষ্টি শুরু হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের চলতি মাসের জন্য দেওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, এই মাসে বঙ্গোপসাগরে দুটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে। এর মধ্যে একটি নিম্নচাপে পরিণত হতে পারে। এ কারণে ওই সময়গুলোয় বৃষ্টি বেড়ে যেতে পারে। উত্তর মধ্যাঞ্চলে দু-তিন দিন ও সারা দেশে তিন-চার দিন বজ্রসহ ঝড় হতে পারে। এই মাসে রাতের তাপমাত্রা ১–২ ডিগ্রি সেলসিয়াস বেশি থাকতে পারে। আর বিক্ষিপ্তভাবে দেশের কয়েকটি স্থানে মৃদু থেকে মাঝারি তাপপ্রবাহ হতে পারে।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্টি হওয়া লঘুচাপটি ভারতের বিহার ভূখণ্ডে উঠে গেছে। এ কারণে বৃষ্টি বেড়ে গেছে। আগামী দু-তিন দিন বৃষ্টি কমে গিয়ে আবারও বাড়তে পারে।
এদিকে গতকাল চট্টগ্রাম বিভাগের নোয়াখালী, ফেনী ও লক্ষ্মীপুরে দেশের সবচেয়ে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। ফেনীতে দেশের সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে ২৮৮ মিলিমিটার। রাজধানীতে সারা দিনে ৪৮ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। দেশের উপকূলের বেশির ভাগ জেলায় ১০০ থেকে ২৫০ মিলিমিটারের মধ্যে বৃষ্টি হয়েছে। রংপুর ও রাজশাহী বিভাগে বৃষ্টি কিছুটা কম হয়েছে।
জেলা আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, গতকাল নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীতে ২৭৭ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে, যা ২০ বছরের মধ্যে জেলায় সর্বোচ্চ বৃষ্টির রেকর্ড।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, শক্তিশালী মৌসুমি বায়ুর কারণে বঙ্গোপসাগরে সঞ্চারণশীল মেঘমালা সৃষ্টি হয়েছে। এ কারণে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, পায়রা ও মোংলা বন্দরকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কসংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। দেশের উপকূল থেকে শুরু করে মধ্যাঞ্চল হয়ে উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলজুড়ে সঞ্চারণশীল মেঘ ও ভারী বৃষ্টি হতে পারে। এ কারণে দেশের বেশির ভাগ নদীবন্দরকে ২ নম্বর স্থানীয় নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ