জামায়াতের খুলনা অঞ্চলের সহকারী পরিচালক ও খুলনা-৬ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেছেন, ইতোমধ্যে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত, যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের খালাস দেয়া হয়েছে। সরকার ইচ্ছা করলে এটিএম আজহারুল ইসলামকে খালাস দিতে পারেন। তাই সরকারের প্রতি আহ্বান দ্রুত তাকে মুক্তি দেয়া হোক। সোমবার খুলনা প্রেসক্লাবে অনুষ্ঠিত প্রেসব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
জামায়াত নেতা এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তির দাবিতে মঙ্গলবার শহীদ হাদিস পার্কের সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল উপলক্ষে এই ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
এর আগে মহানগর জামায়াতের আমির অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান বলেন, ২০১২ সালে এটিএম আজহারুল ইসলামকে গ্ৰেপ্তার করা হয়। এরপর সাজানো মামলা ও পাতানো বিচারের মাধ্যমে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেয়া হয়।
সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে মাওলানা আবুল কালাম আজাদ বলেন, সমাবেশে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ড থেকে মিছিল হাদিস পার্কে আসবে। সেখানে প্রায় ৩০/৪০ হাজার মানুষের সমাগম হবে বলে আশা করছি।
প্রেস বিফ্রিংয়ে উপস্থিত ছিলেন খুলনা মহানগর জামায়াতের আমির ও খুলনা-৩ আসনের সংসদ সদস্য প্রার্থী অধ্যাপক মাহফুজুর রহমান, জেলা জামায়াতের আমির মাওলানা ইমরান হোসাইন, নগর সেক্রেটারি ও খুলনা-২ আসনের প্রার্থী অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর হোসাইন হেলাল, বটিয়াঘাটা উপজেলা আমির ও খুলনা-১ আসনের প্রার্থী মাওলানা আবু ইউসুফ, জামায়াত নেতা মিয়া গোলাম কুদ্দুস, শেখ জাহাঙ্গীর আলম, আজিজুল ইসলাম ফারাজি, মহানগর ছাত্র শিবিরের সভাপতি আরাফাত হোসাইন মিলন প্রমুখ।
মাওলানা আবুল কালাম আজাদ আরও বলেন, ২০২৪ সালে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ থেকে পালিয়ে যায়। দেশ স্বৈরাচারের কবল থেকে মুক্তিলাভ করে। রাজনৈতিক মিথ্যা মামলায় ফ্যাসিস্ট সরকারের গ্রেফতার অনেক নেতাকর্মী মুক্তিলাভ করেন। রাষ্ট্রপতির আদেশে অনেককে তাৎক্ষণিক মুক্তি দেওয়া হয়। দেশবাসী আশা করেছিল যে, চরম জুলুম-নির্যাতনের শিকার এটিএম আজহারুল ইসলাম স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে মুক্তিলাভ করবেন। কিন্তু অন্তবর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ৬ মাস ৮ দিন অতিবাহিত হওয়া সত্ত্বেও এটিএম আজহারুল ইসলাম মুক্তিলাভ করেননি। জামায়াত স্বৈরশাসনামলে জুলুম এবং নির্যাতনের শিকার হয়েছে। আর স্বৈরশাসনমুক্ত বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী এখনো বৈষম্যের শিকার হচ্ছে।
খুলনা গেজেট/হিমালয়