বিনা মামলা-বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেপ্তার খুলনা মহানগর বিএনপির অন্যতম যুগ্ম আহবায়ক শেখ সাদীকে আজকের (শুক্রবার) মধ্যে নিঃশর্ত মুক্তির দাবি জানানো হয়েছে।
বেলা সাড়ে ১১টায় কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ে মহানগর বিএনপির এক তাৎক্ষণিক প্রেস ব্রিফিং থেকে এ দাবি জানানো হয়।
বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপি নেতা শেখ সাদীকে খালিশপুর থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে রাতেই খুলনা থানায় হস্তান্তর করে।
দলের পক্ষ থেকে সাদীকে কোন মামলায় গ্রেপ্তারে করা হয়েছে জানতে চাইলেও পুলিশ কোন সদুত্তর দিতে পারেনি।
প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তব্য রাখেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা, জেলা বিএনপির আহবায়ক আমির এজাজ খান, মহানগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন।
তারা বলেন, সরকার বেসামাল হয়ে পড়েছে। দেশের অর্থনীতি ধ্বংসের পথে। ডলার ১২০ টাকা। ভারতীয় রুপির বিনিময় হার ৬৭ টাকা। কাঁচা মরিচের দাম কেজি ৪০০ টাকা। রেগুলেটারি কমিশনের গণশুনানী কিংবা পরামর্শ ছাড়াই সরকার একক সিদ্ধান্তে সব ধরনের জ্বালানী তেলের দাম বাড়িয়েছে। অথচ এক সপ্তাহ আগে প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, আমাদের অকটেন পেট্রোল আমদানি করতে হয়না।
এ সময় জানানো হয়, বিএনপি নেতা শেখ সাদী অনেকগুলো রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলক মামলায় অভিযুক্ত থাকলেও সবগুলোতে তিনি জামিনে রয়েছেন। তার কোন মামলা পেন্ডিং নেই। খুলনায় বিএনপি সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী হতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে কর্মীসভার মাধ্যমে কমিটি গঠন করছে। নেতাকর্মীদের মাঝে প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিটি কর্মসূচিতে শেখ সাদী সক্রিয়ভাবে অংশ নিচ্ছেন। দলীয় কর্মীদের মাঝে আতংক ছড়াইতেই সাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তারা। সরকার পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে বিএনপিকে দমন করতে চায়।
প্রেস ব্রিফিংয়ে জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, যুগ্ম আহবায়কদের মধ্যে সৈয়দা রেহানা ঈসা, মোল্লা খায়রুল ইসলাম, কাজী মাহমুদ আলী, আজিজুল হাসান দুলু, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, কে এম হুমায়ুন কবির, এহতেশামুল হক শাওন, তারিকুল ইসলাম, মিজানুর রহমান মিলটন, আক্কাস আলী, মুর্শিদুর রহমান লিটন, রফিকুল ইসলাম বাবু, শামসুল বারিক পান্না, ইশতিয়াক আহমেদ ইসতি প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।