১১ দফা দাবিতে আজও সড়কে নামছেন শিক্ষার্থীরা। তবে আজ সড়ক অবরোধ নয়, মানববন্ধন করবেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। আজ এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় তাদের ভোগান্তির কথা চিন্তা করে অবরোধের মতো কঠোর কর্মসূচি থেকে সরে এসেছে শিক্ষার্থীরা।
আজ দুপুর ১২ টা থেকে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়কের একপাশে দাঁড়িয়ে মানবন্ধন করছেন শিক্ষার্থীরা। ঘণ্টাব্যাপী এই কর্মসূচি শেষ হবে দুপুর ১টায়। বুধবার শিক্ষার্থীদের পক্ষ থেকে নতুন এই কর্মসূচি ঘোষণা করে বলা হয়, ১১ দফা পূরণ না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চলবে। ৫ ডিসেম্বরের মধ্যে সারা দেশে শিক্ষার্থীদের জন্য হাফ ভাড়ার ঘোষণা না এলে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
সড়ক দুর্ঘটনার বিচার ও নিরাপদ সড়কের দাবিতে বুধবারও রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। এতে নগরজুড়ে সড়কে সৃষ্টি হয় যানজট।
তবে আজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের কথা বিবেচনায় রেখে চলমান আন্দোলনের ধরন বদল করেছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীরা বলেছেন, সড়ক অবরোধ না করে তারা আপাতত দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত সড়কের একপাশে অবস্থান করে মানববন্ধন ও কালো ব্যাজ ধারণ করে কর্মসূচি পালন করবেন। সড়কে যাতে যান চলাচল বিঘ্ন না ঘটে সেদিকে লক্ষ্য থাকবে তাদের।
অন্যদিকে রামপুরায় বাসচাপায় শিক্ষার্থী মাইনুদ্দিন ইসলাম দুর্জয় নিহত হওয়ার জেরে গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বুধবার পুলিশ বাদী হয়ে ‘উচ্ছৃঙ্খল ছাত্র ও জনতা’র নামে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে মামলা করেছে। এতে অজ্ঞাত ৩০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের ১১ দফা : বুধবার শিক্ষার্থীরা ১১ দফা দাবি তুলে ধরেন। এর ১ নম্বরটি ছিল- সড়কে নির্মম হত্যার শিকার নাঈম ও মাইনুদ্দিন হত্যার বিচার করতে হবে। তাদের পরিবারকে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। গুলিস্তান ও রামপুরা ব্রিজ সংলগ্ন এলাকায় পথচারী পারাপারের জন্য ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করতে হবে। দ্বিতীয়টি হলো-সারা দেশে সব গণপরিবহণে শিক্ষার্থীদের হাফ পাশ সরকারি প্রজ্ঞাপন দিয়ে নিশ্চিত করতে হবে। হাফ পাশের জন্য কোনো সময় বা দিন নির্ধারণ করে দেওয়া যাবে না। বর্ধিত বাস ভাড়া প্রত্যাহার করতে হবে। সব রুটে বিআরটিসির বাসের সংখ্যা বৃদ্ধি করতে হবে।
প্রসঙ্গত সোমবার রামপুরায় অনাবিল পরিবহণের একটি বাসের চাপায় এসএসসি শিক্ষার্থী মাঈনুদ্দিন (১৭) নিহত হয়। সোমবার রাত ১১টার দিকে রামপুরাবাজার ও টিভি সেন্টারের মাঝামাঝি সোনালী ব্যাংকের সামনে ডিআইটি রোডে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এ ঘটনার পর ১২টি বাসে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছেন বিক্ষুব্ধরা। গণপিটুনিতে বাসচালক জ্ঞান হারান। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চালকের সহকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
নিহত মাঈনুদ্দিন স্থানীয় একরামুন্নেছা স্কুল থেকে এবার এসএসসি দিয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এস আই