হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়ে হত্যার বদলা নিতে আজই ইসরাইলে হামলা চালাতে পারে ইরান। অনলাইন অ্যাক্সিওস রিপোর্টে বলেছে, জি৭ দেশগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সতর্ক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। তিনি বলেছেন, সোমবার সকালের দিকেই এই হামলা চালাতে পারে ইরান ও হিজবুল্লাহ।
ওদিকে টাইমস অব ইসরাইল বলেছে, ইসরাইলে হামলা প্রতিরোধ করতে আগেভাগেই ইরানে হামলার অনুমোদন দিতে পারে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর নেতৃত্বাধীন সরকার।
পত্রিকাটি আরও জানিয়েছে ইসরাইলের শীর্ষস্থানীয় গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ, শিন বেত, এর প্রধানদ্বয় ডেভিড বারনিয়া এবং রোনেন বার’কে মিটিংয়ে ডেকেছিলেন নেতানিয়াহু। তাতে উপস্থিত ছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট এবং ইসরাইল ডিফেন্স ফোর্সের (আইডিএফ) চিফ অব স্টাফ হারভি হ্যালেভি। এ খবর দিয়েছে অনলাইন এনডিটিভি।
১৯৮০-র দশকের শুরুতে ইরানের সমর্থনে প্রতিষ্ঠিত হয় হিজবুল্লাহ। তারা ইরানের পক্ষে মধ্যপ্রাচ্যে বিভিন্ন রকম প্রক্সি লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। ইরানের রেভ্যুলুশনারি গার্ড তাদেরকে অর্থায়ন ও অস্ত্র সরবরাহ দিয়ে থাকে। তাই হিজবুল্লাহ ধারণ করে তেহরানের আদর্শ।
তারা প্রাথমিকভাবে সদস্য সংগ্রহ করে লেবাননের শিয়া মুসলিমদের ভিতর থেকে। শনিবার ইরান বলেছে, ইসরাইলের অনেক গভীরে হামলা চালাবে হিজবুল্লাহ। শুধু সামরিক স্থাপনাই এর লক্ষ্য থাকবে না।
হিজবুল্লাহর সিনিয়র সামরিক কমান্ডার ফুয়াদ শুকুরকে সম্প্রতি হত্যা করেছে ইসরাইল। এরপরই হিজবুল্লাহ প্রতিশোধ নেয়ার ক্ষোভে জ্বলছে। তেহরানে হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়েকে হত্যা এ পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। এ হত্যার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করেছে হামাস ও তেহরান। কিন্তু ইসরাইল এ বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। এ ঘটনায় উদ্বেগ নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে।
খুলনা গেজেট/এমএম