মংলার সুন্দরবন ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা একরাম ইদারা দার কে তলব করেছে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি।
‘নারী নেতৃত্ব হারাম’ বলে বাগেরহাট-৩ (রামপাল-মোংলা) আসনে নৌকার বিপক্ষে ভোট চেয়ে আলোচনায় আসে আওয়ামী লীগ নেতা। মো. একরাম ইজারাদার ২০২১ সালে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে বাগেরহাটের মোংলা উপজেলার সুন্দরবন ইউনিয়ন থেকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় চেয়ারম্যান হন।
৪ নভেম্বর ( বৃহস্পতিবার) বাগেরহাট ৩-এর নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান বাগেরহটের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ (১ম আদালত) আদালতের বিচারক ওবায়দা খানমের কার্যালয়ে সশরীরে উপস্থিত হয়ে তাঁকে ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে । বুধবার এ তলব আদেশ দেন বাগেরহাট-৩ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান ওবায়দা খানম।
বাগেরহাট-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী ইদ্রিস আলী ইজারাদারের (ঈগল প্রতীক) পক্ষে প্রচারণায় সুন্দরবন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. একরাম ইজারাদার নির্বাচনী আচরণবিধি ভঙ্গ করে হাবিবুর নাহারের (নৌকা) বিরুদ্ধে মানহানিকর বক্তব্য দিচ্ছেন। নির্বাচনী আচারণ বিধির ১১(ক) ধারা লঙ্ঘনের দায়ে তাঁকে (একরাম ইজারদার) বৃহস্পতিবার আমার কার্যালয়ে সশরীরে এসে ব্যখ্যা তলব করা হয়েছে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন আচারণ বিধিমালার ১১(ক) ধারা উল্লেখ আছে, নির্বাচনী প্রচারণাকালে ব্যক্তিগত চরিত্র হনন করিয়া বক্তব্য প্রদান বা কোন ধরণের তিক্ত (উস্কানিমূলক বা মানহানিকর) বক্তব্য, লিঙ্গ, সাম্প্রদায়িকতা বা ধর্মানুভূতিকে আঘাত লাগে এমন কোন বক্তব্য প্রদান করিতে পরিবেন না।
সুন্দরবন ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সদস্য মো. একরাম ইজারাদার সাম্প্রতি তাঁর ইউনিয়নে ঈগল প্রতীকের এক সভায় বলেন, ‘আমরা গজবের ভেতর নিমজ্জিত আছি। এতে সন্দেহের কোনো অবকাশ নেই। জনমনে কোনো স্বস্তি নেই, শান্তি নেই; তার কারণ, নারী নেতৃত্ব হারাম। নারী নেতৃত্বের অধীনে আমরা এখানে রয়েছি। আমাদের ভোটটা আমরা বেগম হাবিবুন নাহারকে (আওয়ামী লীগের প্রার্থী) দুইবার (ভোট) দিয়ে আমরা নারী নেতৃত্বকে প্রতিষ্ঠিত করছি। তাই আমাদের এখানে কোনো সুখ-শান্তি অবস্থান করে না। যেটা সত্য, সেই কথা আমি এখানে আপনাদের কাছে বলে গেলাম। উনি একজন নারী, উনি রাজনীতি আর সমাজনীতির বোঝেন কি? কিছুই বোঝেন না।’
চেয়ারম্যানের এই বক্তব্যটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং বেশ কয়েকটি গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশ হয়।
খুলনা গেজেট/ এএজে