আলমডাঙ্গায় আগুনে অগ্নিদগ্ধ হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আয়না খাতুন (৩৫) নামের এক গৃহবধূর মৃত্যু হয়েছে। গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে উপজেলার কামালপুর গ্রামে ওই গৃহবধূ অগ্নিদগ্ধ হন। আজ বুধবার ভোরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। আয়না ওই গ্রামের ওয়ার্কশপ মেকানিক সোহেল রানার স্ত্রী ছিলেন।
গৃহবধূর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন স্থানীয় ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান দোলন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার কুমারী ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের সোহেল রানা ওরফে কালুর স্ত্রী আয়না খাতুন। তিনি মিরপুর থানাধীন কুর্ষা ইউনিয়নের মাজহাদ গ্রামের আব্দুল জলিলের মেয়ে। গত ১৯ জানুয়ারি শুক্রবার বিকেলে বাড়ির উঠানে একাই বিচালির খড় দিয়ে আগুন পোহাচ্ছিলেন গৃহবধূ আয়না খাতুন। আগুন পোহানোর এক পর্যায়ে তার পরনের কাপড়ে আগুন ধরে যায়। কিছু বুঝে ওঠার আগেই আগুন সারা শরীরে ছড়িয়ে পড়ে।
প্রতিবেশী রহিমা বেগম জানান, তার সন্তানদের চিৎকারে প্রতিবেশীরা গিয়ে তাকে মারাত্মক দগ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে। প্রথমে তাকে আলমডাঙ্গা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য শুক্রবার রাতেই ঢাকায় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সাজারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করানো হয়। সেখানে ১২ দিন চিকিৎসাধীন অবস্থায় আজ বুধবার ভোরে তার মৃত্যু হয়।
আলমডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গণি মিয়া জানান, ঢাকার শাহবাগ থানা থেকে একটি মেসেজের মাধ্যমে মৃত্যুর ঘটনাটি জানতে পারি। তবে, মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে জিডি কিংবা থানা পুলিশকে এখনও অবগত করেনি।
খুলনা গেজেট/ টিএ