যশোর সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচন আগামী ৫ জুন অনুষ্ঠিত হবে। মঙ্গলবার(২৮মে) সন্ধ্যায় রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। নির্বাচন কমিশন সচিবালয় থেকে এক পত্রের মাধ্যমে বিষয়টি রিটার্নিং অফিসারকে জানানো হয়েছে।
পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, যশোর সদর উপজেলা পরিষদের সকল পদের নির্বাচন যে পর্যায় থেকে স্থগিত করা হয়েছিল, সেই পর্যায় থেকে শুরু করে আগামী ৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত প্রদান করেছে। এই পত্র পাওয়ার পর আগামী ৫ জুন নির্বাচন অনুষ্ঠানের গণবিজ্ঞপ্তি জারি করেছেন রিটার্নিং অফিসার। ওইদিন সকাল আটটা থেকে বিকেল চারটা পর্যন্ত ইভিএমে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে।
নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করে যে পর্যায় থেকে স্থগিত করা হয়েছে সেই পর্যায় থেকে শুরু করে আইন ও বিধি মোতাবেক ভোট গ্রহণ করার নির্দেশ দিয়েছে।
মাত্র পাঁচদিন বাকি থাকতে স্থগিত হয়ে যায় যশোর সদর উপজেলার নির্বাচন। এ কারণে ২৯ মে ভোট হচ্ছে না। শাহারুল ইসলাম নামে একজন চেয়ারম্যান প্রার্থীর একটি মামলার আদেশের পর ভোট গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে কমিশনের এ সংক্রান্ত একটি পত্র যশোরে আসে। ওইপত্রের স্মারক নম্বর উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ ওইদিন সন্ধ্যায় নির্বাচন স্থগিতের পত্র জারি করেন।
২৯ মে যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনে আরবপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান শাহারুল ইসলাম উপজেলা চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র জমা দেন। এরপর একটি পদে থেকে আরেকটি পদে নির্বাচন করা যাবে না উল্লেখ করে রিটার্নিং অফিসার তাকে প্রতীক বরাদ্দ দেননি বলে দাবি করেন তিনি। এ কারণে তিনি তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করতে হাই কোর্টে রিট পিটিশন করেন। এরপর গত ১৩ মে হাই কোর্ট শাহারুল ইসলামকে নির্বাচনে অংশগ্রহণসহ তার অনুকূলে প্রতীক বরাদ্দের আদেশ দেন। ওই আদেশের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশন আপিল বিভাগে দায়ের করলে গত ২০ মে ‘নো অর্ডার’ আদেশ জারি করে আপিল বিভাগ। আপিল বিভাগের ওই আদেশ বাস্তবায়নে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত আগামী ২৯ মে’র সকল পদের নির্বাচন স্থগিত রাখার জন্য নির্বাচন কমিশন সিদ্ধান্ত নেয়। এ সংক্রান্ত পত্র যশোর সদর উপজেলা নির্বাচনের রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদের কাছে বৃহস্পতিবার বিকেলে পৌঁছে।
নির্বাচন স্থগিত সংক্রান্ত নির্বাচন কমিশনের পত্র পাওয়ার সাথে সাথে ২৯ মে’র ভোট স্থগিত করে পত্র জারি করেন রিটার্নিং অফিসার আব্দুর রশিদ।
এদিকে, সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ৭জন চেয়ারম্যান, ৫জন ভাইস চেয়ারম্যান ও ৩জন মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে গণসংযোগ ও প্রচার-প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় চেয়ারম্যান প্রার্থী শাহারুল ইসলামকে জোড়া ফুল প্রতীক বরাদ্দ দিয়েছেন রিটার্নিং অফিসার।
খুলনা গেজেট/এএজে