আগামী ৪০ দিনের মধ্যে সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্পন্নের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। এছাড়া একটি গ্রহণযোগ্য ভোটার তালিকা প্রস্তুতের জন্য ৭ সদস্যের একটি কমিটিও করে দিয়েছেন। সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান গত ১৪ ডিসেম্বর এ আদেশ দেয়ার পর ২৩ ডিসেম্বর (বুধবার) আদেশের অনুলিপি সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌঁছে দেয়া হয়েছে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সাতক্ষীরা পুলিশ সুপারকে প্রধান করে গঠিত ওই কমিটির অপর সদস্যরা হলেন, জেলা প্রশাসক মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, এনএসআই মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, ডিজিএফ আই মনোনীত একজন উপযুক্ত প্রতিনিধি, জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সর্বশেষ নির্বাচিত সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি আবু আহমেদ ও সাধারণ সম্পাদক মমতাজ আহমেদ।
“প্রেসক্লাব প্রকৃত প্রস্তাবে একটি সম্মানজনক প্রতিষ্ঠান। কোনভাবেই এর গতিরুদ্ধ করা সমীচিন নয়।” সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সাম্প্রতিক বিরোধ নিয়ে করা একটি মামলার আদেশে সাতক্ষীরা সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ শেখ মফিজুর রহমান এমনটি উল্লেখ করেছেন।
প্রসঙ্গতঃ সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের ২০১৯ সালের কমিটির মেয়াদ গত ২২ জানুয়ারি তারিখে পূর্ণ হওয়ায় প্রেসক্লাবের গঠনতন্ত্রের ৫.১(৬) ধারার বিধান মোতাবেক কমিটির মেয়াদ উত্তীর্ণের ৩০ দিন পূর্বে ৪ জানুয়ারি তারিখে একটি সাধারণ সভা আহ্বান করা হয়। সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক নির্বাচনী তপশিল ঘোষণা করা হয় এবং নির্বাচন পরিচালনার জন্য জেলা প্রশাসক ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি কমিটিও গঠন করে দেয়া হয়।
কিন্তু নির্বাচনের প্রস্তুতিকালে একটি পক্ষ প্রেসক্লাবের দখল নিয়ে নেয়। এ ঘটনায় সাতক্ষীরা প্রেসক্লাবের সভাপতি সাতক্ষীরা সিনিয়র সহকারী জজ আদালত দেওয়ানী ২৩/২০২০ নং মামলা দায়ের করেন। মামলায় সিনিয়র সহকারী জজ ৭ সেপ্টেম্বর তারিখে প্রতিপক্ষ কমিটিকে অবৈধ ঘোষণা করেন। এতে প্রতিপক্ষ ক্ষুদ্ধ হয়ে জেলা জজ আদালতে একটি আপিল করেন।
সাতক্ষীরা জেলা জজ আদালত পর্যালোচনা করে দেওয়ানী ২৩/২০২০ নং মামলায় প্রদত্ত তর্কিত আদেশ বহাল রাখেন এবং আদেশের নির্দেশনা অনুযায়ী ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটি আদেশ প্রাপ্তির ৪০ দিনের মধ্যে একটি নির্বাচিত কার্যকরি কমিটি গঠনের উদ্দেশ্যে একটি অবাধ, নিরপেক্ষ ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
খুলনা গেজেট/এনএম