বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) তত্ত্বাবধানে তৈরী হতে যাওয়া শেখ হাসিনা আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের (এসএইচআইসিএস) প্রকল্পের প্রাথমিক পর্বের কাজ করোনার প্রভাবে শুরু করতে ব্যর্থ হয়েছিল প্রকল্পটির বাস্তবায়ন কমিটি। লম্বা বিরতির পর আগস্টে স্টেডিয়ামের প্রাথমিক পর্বের কাজ শুরু করার সম্ভাবনা রয়েছে। বিসিবি গ্রাউন্ডস কমিটি এবং এসআইএইচসিএস-প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান (পিআইসি) মাহবুবুল আনাম পিআইসির একটি অনানুষ্ঠানিক অনলাইন বৈঠক শেষে গণমাধ্যমের কাছে এই আশা প্রকাশ করেছেন যদিও তাদের বোর্ড পরিচালনা অফিসে ব্যক্তিগতভাবে সাক্ষাত করতে হবে। বোর্ডের অনুমোদনের জন্য প্রক্রিয়া শুরু করা দরকার যার জন্য তাদের একটি বোর্ড সভার জন্যও বসতে হবে। আনাম জানান, বিসিবি সভাপতি দেশে ফিরে আসার পর তারা আগস্টের প্রথম সপ্তাহে একটি বোর্ড সভা ডাকতে পারেন। সম্প্রতি গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন মাহবুবুল আনাম।
তিনি বলেন, ‘স্টেডিয়ামটির নির্মাণ কাজ এখনও শুরু হয়নি। আমাদের অনেক দেরি হয়ে গেছে। করোনভাইরাস মহামারীর কারণে কিছুই করতে পারিনি। আমি মনে করি আমরা ছয় মাস পিছিয়ে গিয়েছি।’ “আসলে বোর্ড সভা না করে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে পারি না। আমরা এখন বোর্ড সভার জন্য অপেক্ষা করছি। বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন ঈদুল আজহার পরে দেশে ফিরলে আমরা বোর্ড সভায় পূর্বচল শেখ হাসিনা স্টেডিয়াম নিয়ে বসে আলোচনা করব।’
পরিকল্পনা হলেও এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত নকশা প্রস্তুত করা হয়নি স্টেডিয়ামটির। তবে শীঘ্রই পরামর্শক নিয়োগ দিয়ে স্টেডিয়ামটির নকশা এবং বাকি কাজ সম্পাদন করা হবে বলে জানান বিসিবির এই পরিচালক।
মাহাবুবুল বলেন, ‘এখনও পর্যন্ত মূল কাজের কোনও রূপরেখা তৈরি করা যায়নি। এখনকার হিসাবে, প্রথমে একটি পরামর্শক নিয়োগ দেয়া হবে। যখন কোনও পরামর্শদাতা নিযুক্ত হবেন, তখন আমরা একসাথে স্টেডিয়ামটি পরিকল্পনা এবং ডিজাইন করব। এবং তারপরে ঠিকাদার নিয়োগের প্রশ্ন উঠবে।’
‘ছয় সদস্যের একটি সংক্ষিপ্ত তালিকা তৈরী করা হবে নকশা এবং আর্কিটেকচারের জন্য। তাদের ভেতর যিনি সেরা ডিজাইন জমা দিয়েছে এবং কাজটি করার যোগ্যতা থাকবে এমন ব্যক্তিকে কাজটি দেব।’
পরিকল্পনা অনুযায়ী ধারণক্ষমতার দিক থেকে দ্বিতীয় বৃহত্তম ক্রিকেট স্টেডিয়াম। সেই সঙ্গে এটি এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল ক্রিকেট স্টেডিয়াম হতে চলেছে।
খুলনা গেজেট/এএমআর