নব নগরের বাতায়ন হতে
আকাশে উদাস আঁখি
কতো স্মৃতিপটে রেখে দেয়া ধ্যান
উড়ে যায় মনপাখি।
কালের চাকায় ঘুরে ঘুরে আসে
আহুত অনাদি চিহ্ন
বেত ঝাড় হতে শেয়ালের ডাক
প্রহরে প্রহরে ভিন্ন।
ঘন তমসায় বাঁশঝাড় বনে
হুতুম পেঁচার ডাক
শীত হিম হিম কেঁপে কেঁপে ওঠে
নিশি প্রহরীর হাঁক।
নবান্নের তাড়া প্রতিটি উঠোনে
আমুদে আমুদে ঘর
পাড়া প্রতিবেশী শত আয়োজনে
কেউ নয় কারো পর।
নালাতে অতল বরষার জল
ফসলের মাঠ ছাপায়ে
দখিনার বিল করে কিলবিল
পুঁটি ও খলসে লাফায়ে।
ফাগুনের দোল আমের মুকুল
গুনগুন বনবীথি
চৈতালী রোদে দেবদারু বনে
গাইছে পাপিয়া গীতি।
শিমুলের ডাল টগবগে লাল
সোনালু ফুলের বাহার
তপ্ত তৃষা জলে কৃষ্ণচূড়া জ্বলে
লালে লাল একাকার।
খিড়কি খুলেছে পবনের ঢেউ
ভিজায়ে দিয়েছে প্রাণ
বেদনা সরায়ে ফুলে ফলে রসে
ছড়ায়ে দিয়েছে ঘ্রাণ।
সেই আঙিনার আমের ছায়ায়
শীতল পাটির সুখ
শত শতাব্দীর পরেও এ বুকে
জেগেছে মায়ের মুখ।
খুলনা গেজেট/এনএম