আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি বলেছেন, বিএনপি কোন দল না। ওরা হলো ক্ষণিকের দল।বিএনপি হলো ষড়যন্ত্রকারী। ওরা খুনির দল। ওরা পাকিস্তানের দালাল। আর আওয়ামী লীগের শক্তি হলো এদেশের মানুষ আর বঙ্গবন্ধুর আদর্শ।
আজ মঙ্গলবার দুপুরে গোপালগঞ্জের কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ সেলিম এমপি বলেন, জিয়া আর মোস্তাক ছিলো পাকিস্তানের এজেন্ট। ৭১-এ পাকিস্তান বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার সাহস পায়নি। জিয়া-মোস্তাক বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করেছিলো। বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করে ওরা আমাদের স্বাধীনতা, মুক্তিযুদ্ধ ও গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। জিয়া মরে গিয়ে বেচে গেছেন। সে বেঁচে থাকলে তারও বিচার হতো। তাকেও ফাঁসির দড়িতে ঝুলতে হতো। মৃত ব্যক্তির বিচার হয় না তাই তিনি মরে গিয়ে বেঁচে গেছেন।
শেখ সেলিম এমপি আরো বলেন, বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমন গণতন্ত্র আছে, বাংলাদেশেও তেমন গণতন্ত্র আছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে যেমন নির্বাচন হয়, বাংলাদেশেও সেই রকম নির্বাচন হবে। কোন অনির্বাচিত লোকের কাছে ক্ষমতা দেয়া হবে না। আর আওয়ামী লীগ পালিয়ে যাওয়া দল না।
শেখ সেলিম এমপি আগামী ১০ ডিসেম্বরের কথা উল্লেখ করে বলেন, ১০ তারিখে বলে ওরা উল্টায় পাল্টায় দেবে। ঢাকায় ২৫ লক্ষ লোকের সমাগম ঘটাবে। তারা ২৫`শ লোকের সমাগম করতে পারবে না।
তিনি আরো বলেন, ওরা এখন গণতন্ত্র ও আইনের শাসনের কথা বলে। বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের ১৮ সদস্যকে যারা হত্যা করেছিলো তাদের মুখে গণতন্ত্রের কথা শোভা পায় না। ওরা ষড়যন্ত্র করছে।ওদের ষড়যন্ত্রের বিষ দাঁত আপনাদের ভেঙ্গে দিতে হবে। এর জন্য আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। তাহলে ওদের ষড়যন্ত্রে কোন কাজ হবে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে আওয়ামী লীগের অপর প্রেসিডিয়াম সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান এমপি-বলেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকলে ২০৪১ সালে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। আমরা যদি সবাই মিলে কাজ করি ২০৩০ এর মধ্যে বাংলাদেশ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশ হবে। কিন্তু যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না তারা ষড়যন্ত্র শুরু করেছে। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুকে রক্ষা করতে পারিনি কিন্তু ২১ আগস্টের গ্রেনেড হামলা থেকে বঙ্গবন্ধুর কন্যাকে রক্ষা করতে পেরেছি।এখন বিএনপি জামাত অপপ্রচারে নেমেছে। তারা বলছে বাংলাদেশ না কি শ্রীলংকা হয়ে যাবে। ব্যাংকে না কি টাকা থাকবে না। এই গুজব সৃষ্টিকারী অপপ্রচারের প্রতিবাদ করতে হবে।
তিনি আরো বলেন, নির্বাচন আসলে বিএনপি নির্বাচন নিয়ে ষড়যন্ত্র করে। তাই ভোট কেন্দ্র পর্যায়ে আমাদের সংগঠিত থাকতে হবে। যাতে ওরা ভোট নিয়ে কোন ষড়যন্ত্র করতে না পারে।
তিনি বিএনপির শাসন আমলের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, বিএনপির সময়ে আমরা না পেয়েছি সার না পেয়েছি বিদ্যুৎ বরং সারের দাবীতে পেয়েছি লাশ।
কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মো. মোক্তার হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সম্মেলনে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম এমপি, এস.এম কামাল হোসেন, সংরক্ষিত নারী আসনের এমপি নার্গিস রহমান, গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি চৌধুরী এমদাদুল হক, সাধারন সম্পাদক মাহাবুব আলী খান বক্তব্য রাখেন। সঞ্চালণায় ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম।
সম্মেলনের দ্বিতীয় পর্বে আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম এমপি মো. মোক্তার হোসেনকে সভাপতি ও কাজী জাহাঙ্গীর আলমকে সাধারন সম্পাদক করে নতুন কমিটির নাম ঘোষণা করেন।
এর আগে সকাল থেকে কাশিয়ানী উপজেলা পরিষদ মাঠের সম্মেলন স্থলে বিভিন্ন ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড থেকে নেতাকর্মিরা মিছিল নিয়ে আসেন। সম্মেলন শুরুরে আগেই মাঠ কানাই কানাই পূর্ণ হয়ে নেতাকর্মি সড়ক ও আশপাশে অবস্থান নেন।