খুলনা মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সিটি মেয়র আলহাজ্ব তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের প্রত্যেকটি সিঁড়ি বেয়ে ৭৩ বছরে পদার্পণ করেছে আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ আজ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায়। দেশের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্বদানকারী প্রাচীন এই রাজনৈতিক দলের ৭৩তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ। আওয়ামী লীগ নানা ঘাত-প্রতিঘাত, চড়াই-উৎরাই ও সুদীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের পথ পাড়ি দিয়ে আজকের এই অবস্থানে উপনীত হয়েছে। দীর্ঘ ৭৩ বছরে দলটি অনেক ঐতিহ্য-গৌরব স্থাপনে সক্ষম হয়েছে।
তিনি বলেন, প্রতিষ্ঠার সময়ই দলের অসাম্প্রদায়িক নামকরণের দাবি উঠলেও সমাজ বাস্তবতা ও তৎকালীন রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দলটি প্রতিষ্ঠার প্রায় চার বছর পর ১৯৫৫ সালে আওয়ামী মুসলিম লীগ থেকে ‘মুসলিম’ শব্দটি বাদ দিয়ে অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ নীতি গ্রহণ করে। আওয়ামী লীগ নামে বাঙালির অধিকার আদায়ের লড়াই সংগ্রামের ব্রত নিয়ে এ রাজনৈতিক দলের আত্মপ্রকাশ ঘটে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাঙালির অধিকার আদায়ের প্রতিষ্ঠান হয়ে উঠে আওয়ামী লীগ।
তিনি বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দলটি এবং নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে নেতৃত্বেই মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে। বিজয়ের পরে আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধু সরকার গঠন করে যুদ্ধ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ গঠতে মনোনিবেশ করেন। ‘৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকের বুলেট সে অগ্রযাত্রা থেমে যায়। পরবর্তীতে তাঁরই সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পিতার অসমাপ্ত স্বপ্নগুলো বাস্তবায়ন করছেন। তিনি বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। আজ বাংলাদেশ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের কাছে উন্নয়নের বিস্ময়।
তিনি আরো বলেন, আওয়ামী লীগ গণমানুষের সংগঠন হিসেবে আস্থা অর্জন করে নিয়েছে। দেশের যে কোন দূর্যোগে আওয়ামী লীগ সবসময় মানুষের পাশে থেকেছে। বর্তমানে এ দলটির নেতৃত্বেই বাংলাদেশ উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় সামিল হয়েছে। একমাত্র এ দলটিই বাঙালি জাতির উন্নয়নের সারথী হতে পেরেছে। ভবিষ্যতেও আওয়ামী লীগ তার ঐতিহ্য-গৌরব ধরে রাখবে। সেই লক্ষে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে কাজ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার সকালে দলীয় কার্যালয়ে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৩তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে মহানগর আওয়ামী লীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। সভায় আরো বক্তৃতা করেন মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম ডি এ বাবুল রানা। মহানগর আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মো. মুন্সি মাহবুব আলম সোহাগের সঞ্চালনায় সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন ও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতা কাজী এনায়েত হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা শ্যামল সিংহ রায়, এ্যাড. রজব আলী সরদার, বীর মুক্তিযোদ্ধা নুর ইসলাম বন্দ, অধ্যক্ষ শহিদুল হক মিন্টু, জামাল উদ্দিন বাচ্চু, বীর মুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক আলমগীর কবির, প্যানেল মেয়র আলী আকবর টিপু, মো. শাহজাদা, কাউন্সিলর জেড এ মাহমুদ ডন, কাউন্সিলর শামছুজ্জামান মিয়া স্বপন, এ্যাড. অলোকা নন্দা দাস, শেখ ফারুক হাসান হিটলু, শেখ মো. জাহাঙ্গীর আলম, বিরেন্দ্র নাথ ঘোষ, হাফেজ মো. শামীম, মো. মফিদুল ইসলাম টুটুল, শেখ নুর মোহাম্মদ, মোজাম্মেল হক হাওলাদার, আজগর আলী মিন্টু, অধ্যা. রুনু ইকবাল, এ্যাড. মো. সাইফুল ইসলাম, তসলিম আহমেদ আশা, কাউন্সিলর ফকির মো. সাইফুল ইসলাম, কাউন্সিলর শেখ হাফিজুর রহমান, বীর মুক্তিযোদ্ধা মোতালেব হোসেন, এ্যাড. এ কে এম শাহজাহান কচি, মীর বরকত আলী, মো. সফিকুর রহমান পলাশ, রনজিত কুমার ঘোষ, এম এ নাসিম, অধ্যা. এ বি এম আদেল মুকুল, শেখ শাহজালাল হোসেন সুজন, এস এম আসাদুজ্জামান রাসেল, কাউন্সিলর এস এম মোজাফফর রশিদী রেজা, কাউন্সিলর ইমাম হাসান চৌধুরী ময়না, কাউন্সিলর গোলাম মওলা শানু, কাউন্সিলর আমেনা হালিম বেবী, কাউন্সিলর কণিকা সাহা, এ্যাড. রাবেয়া ওয়ালী করবী, আইরিন চৌধুরী নীপা, এ্যাড. শামীম আহমেদ পলাশ, বীর মুক্তিযোদ্ধা মুন্সি আইয়ুব আলী, আব্দুল হাই পলাশ, ফেরদৌস হোসেন লাবু, মঈনুল ইসলাম নাসির, শেখ আবিদ উল্লাহ, চ. ম. মজিবুর রহমান, বাদল সরদার বাবুল, চৌধুরী মিনহাজ উজ জামান সজল, শেখ জাহিদ হোসেন, এ্যাড. মো. ফারুক হোসেন, শেখ আব্দুল আজিজ, মো. নুর ইসলাম, শেখ সেলিম মুন্সি, ইউসুফ আলী খান, শেখ হাসান ইফতেখার চালু, মো. জাকির হোসেন, মো. মোতালেব মিয়া, মীর মো. লিটন, সরদার আব্দুল হালিম, মো. রুহুল আমিন, মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার, মো. সিহাব উদ্দিন, এ্যাড. শামীম মোশাররফ, মো. আজম খান, শেখ এশারুল হক, আতাউর রহমান শিকদার রাজু, ওহিদুল ইসলাম পলাশ, শরীফ এনামুল কবীর, মো. মোক্তার হোসেন, মো. রুহুল আমিন, মো. তোতা মিয়া ব্যাপারী, মুন্সি নাহিদুজ্জামান. মো. কারুজ্জামান, শবনম সাবা, কবীর পাঠান, ইয়াছির আরাফাত, নাছরিন ইসলাম তন্দ্রা, আফরোজা জেসমিন বিথী, নুুর জাহান রুমী, নূরিনা রহমান বিউটি, রোজী ইসলাম নদী, মেহজাবিন খান, রোকেয়া রহমান, নাছরিন আক্তার, খাদিজা কবীর তুলি, রোকেয়া রহমান, রেজওয়ানা প্রধান, ফেরদৌস আলম রিতা, আঙ্গুরী বেগম, তাজমুল হক তাজু, মাসুদ হোসেন সোহান, ইখতিয়ার উদ্দিন মোল্লা, কারুজ্জামান ইমরান, মাহমুদুল ইসলাম সুজন, মাহমুদুর রহমান রাজেস, সংকর কুন্ডু, রুম্মান আহমেদসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।
এর আগে সকাল ৭টায় দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে মাল্যদান করা হয়। পরে সকাল ৯টায় একটি বর্ণাঢ্য র্যালি নগরীর প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গণে গিয়ে শেষ হয়।