যশোরে বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী ড. মোশাররফ হোসেন বলেছেন, আওয়ামী লীগ ও গণতন্ত্র এক সাথে চলে না। তাই আওয়ামীলীগ কে হটানো ছাড়া দেশে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার সম্ভব নয়। মেশিনে নয়, জনগণ নিজের হাতে ভোট দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করতে পারে এই সৃযোগ সৃষ্টির করতে হবে। এটি কেবল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের নয় সমগ্র জনগণের সামনে আজ এটিই লক্ষ্য। সেই লক্ষ্য পূরনের যে আন্দোলন চলছে সেই আন্দোলনে তরিকুল ইসলামের মত নেতার বড় অভাব।
তিনি বলেন, আজকে দেশের চলমান সংকট থেকে উত্তরণের জন্য তরিকুল ইসলামের অভাব। তাই জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠার মধ্য দিয়ে তরিকুল ইসলামের স্বপ্নকে বাস্তাবায়ন করতে হবে।
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক সদস্য ও সাবেকমন্ত্রী তরিকুল ইসলামের স্মরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন। বরেণ্য রাজনীতিক তরিকুল ইসলামের ৪র্থ মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জেলা বিএনপির আয়োজনে রোববার বিকেলে বিডি হল মিলানয়তনে এই স্মরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, তরিকুল ইসলাম নির্যাতিত, নিপীড়িত, সাহসী, দৃঢ় চিত্ত, আপোষহীন, সংগ্রামী , মজলুম রাজনৈতকি নেতার একজন রোল মডেল । তিনি শুধু যশোর উন্নয়নের রূপকার নন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বাকশালের হাত থেকে দেশকে রক্ষা করে জনগণকে স্বনির্ভল ও আধুনিক বাংলাদেশ গঠনের যে রূপ রেখা, তার সাথে তরিকুল ইসলাম জড়িত। বাংলাদেশের উন্নয়নের সকল ক্ষেত্রের উন্নয়নে যশোরের মত অবদান রেখেছেন। তিনি বাংলাদেশের মানুষের কাছে নির্যাতিত, মজলুম ও গঠনমূলক রাজনীতির রোল মডেল হিসেবে পরিচিতি। তিনি ছাত্র জীবন থেকে সক্রিয় রাজনীতির সাথে জড়িয়ে পড়েন। তিনি সরকারি এম এম কলেজ ছাত্র সংসদের জি এস ছিলেন।
পরবর্তীতে তিনি যশোর পৌরসভার ভাইস চেয়ারম্যান ও চেয়ারম্যান, সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন ও মন্ত্রীত্ব লাভ করেন। তিনি দলের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন। তার দীর্ঘ রাজনীতিক জীবনে অনেক ত্যাগ, সংগ্রাম, আন্দোলন করে অগ্রসর হয়েছেন। সামরিক শাসক এরশাদ মিথ্যা ওষড়যন্ত্র মূলক মামলায় তাকে আটক সীমাহীন নির্যাতন চালিয়েছিল। সেই সামরিক শাসকের নির্যাতনের হাত থেকে বাঁচতে সে সময় অনেকে এরশাদের পক্ষ নিয়েছিলেন, আবার অনেকে বিদেশে পালিয়ে গিয়েছিলেন। আর তরিকুল ইসলাম অসীম সাহসিকতা দৃঢ় চিত্তে সীমাহীন নির্যাতন সহ্য করে স্বৈরশাসকের শাসকের কাছে আত্মসমর্পন করেন নি। সেই তরিকুল ইসলাম এ দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্রের জন্য স্বাধীন সার্বভৌম ও স্বনির্ভর রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য সারা জীবন সংগ্রাম করে গেছেন।
স্মরণ সভায় বিশেষ অতিথির বক্তৃতা করেন ন দলের ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু ও অ্যাড. নিতাই রায় চৌধূরী।
জেলা বিএনপির যুগ্ম-আহ্বায়ক দেলোয়ার হোসেন খোকনের সভাপতিত্বে ও সদস্য মুনির আহমেদ বাচ্চুর পরিচালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, দলের কেন্দ্রীয় মানবাধিকার বিষয়ক সম্পাদক অ্যাড. আসাদুজ্জামান, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল, সহ-মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক সম্পাদক অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, খুলনা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক জয়ন্ত কুমার কুন্ডু, খুলনা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য রফিকুল ইসলাম বকুল, কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান কবির, যশোর জেলা বিএনিপির সদস্য অ্যাড. সৈয়দ সাবেরুল হক সাবু, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম, ঝিনাইদহ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাড. এম এ মজিদ, প্রমুখ।