দেশের মানুষের ভোটের অধিকার হরণের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সরকার দেশের ইতিহাসকে কলঙ্কিত করেছে বলে মন্তব্য করেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
তিনি বলেছেন, ‘আওয়ামী লীগ ভোট ছাড়া ক্ষমতায় আছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দিয়ে পিটিয়ে, গুম করে, মামলা-হামলা করে তারা ক্ষমতায় আছে।’
শুক্রবার (৩০ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে এসব কথা বলেন তিনি।
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘ভোট চুরির মাধ্যমে শেখ হাসিনা ক্ষমতায় আসার পর আশ্বাস দিয়েছিলেন সমস্ত রাজনৈতিক দলের সাথে আলোচনা করে সুষ্ঠু নির্বাচন দেবেন, বলেছিলেন তার ওপর ভরসা রাখতে। কিন্তু তিনি সেটি করেননি। ২০১৮ সালে মধ্যরাতের কলঙ্কজনক একটি নির্বাচনের মাধ্যমে আবারও ক্ষমতায় আসেন তিনি।’
জোনায়েদ সাকি বলেন, ‘মধ্যরাতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, প্রশাসন আর গুণ্ডা বাহিনী দিয়ে তারা ব্যালট বাক্স ভরেছিল। বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানগুলো জনগণের ট্যাক্সের পয়সায় চলে, কিন্তু সরকার এই প্রতিষ্ঠানগুলো ব্যবহার করে জনগণের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। রাষ্ট্রকে জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন করে হুমকির মুখে ফেলে দিয়েছে। দেশের ইতিহাসে এমন কলঙ্কজনক ঘটনা আর কখনও ঘটেনি।’
১১ জানুয়ারি গণঅবস্থান কর্মসূচি
এদিকে আগামী ১১ জানুয়ারি রাজধানীতে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে গণতন্ত্র মঞ্চ। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতা ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু এ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। শুক্রবার গণতন্ত্র মঞ্চের গণমিছিল শেষে রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে এক সমাপনী সভায় তিনি এ ঘোষণা দেন।
বাবলু বলেন, আমাদের গণমিছিল শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়েছে। ১১ জানুয়ারি গণতন্ত্র মঞ্চ জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে গণঅবস্থান কর্মসূচি পালন করবে। সবাইকে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানাচ্ছি।
এর আগে প্রেসক্লাবের সামনে সমাবেশ শেষে গণমিছিল বের করে গণতন্ত্র মঞ্চ। এ মিছিলটি পুরানো পল্টন, বিজয়নগর হয়ে কাকরাইল মোড়ে গিয়ে শেষ হয়।
সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন- বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন স্বপন, গণঅধিকার পরিষদের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক রাশেদ খান, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক হাসনাত কাইয়ুম প্রমুখ।