গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার, বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করে দলটিকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশ।
বুধবার (৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজধানীর বাংলামোটরে এনসিপির অস্থায়ী কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে দলটির সঙ্গে বৈঠক করেছে হেফাজতে ইসলাম। বৈঠকে এনসিপি ও হেফাজতের জ্যেষ্ঠ নেতারা অংশ নেন। হেফাজতে ইসলামের আগ্রহে অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে দুই পক্ষ আওয়ামী লীগের বিষয়ে ঐকমত্য পোষণ করে। এর আগে বিএনপির সঙ্গে বৈঠক করে হেফাজত।
এনসিপির সঙ্গে বৈঠকে হেফাজতে ইসলামের পক্ষে বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সংগঠনের মহাসচিব মাওলানা সাজেদুর রহমান, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা জুনায়েদ আল হাবিব, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক, মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী, নায়েবে আমির আহমেদ আবদুল কাদের, মাওলানা আহমেদ আলী কাসেমী ও মাওলানা মহিউদ্দিন রব্বানী।
আর এনসিপির পক্ষে অংশ নেন দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম, সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সংগঠক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম আদীব, যুগ্ম আহ্বায়ক আশরাফ উদ্দীন মাহাদী, সংগঠক মো. সানাউল্লাহ ও রফিকুল ইসলাম আইনী।
বৈঠক শেষে এনসিপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক আরিফুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘গণহত্যার দায়ে দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার, বিচার না হওয়া পর্যন্ত আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক ও সাংগঠনিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা, নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগের বিচারের দৃশ্যমান তৎপরতা এবং আওয়ামী লীগকে সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে ঘোষণা—এসব বিষয়ে বৈঠকে ঐকমত্য হয়েছে।’ তবে নির্বাচনের বিষয়ে বৈঠকে কোনো আলোচনা হয়নি বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, আওয়ামী লীগ শাসনামলে আলেম ও বিরোধীদলীয় নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলাগুলো প্রত্যাহারের বিষয়ে সবাই যেন একসঙ্গে কাজ করে, সে বিষয়েও হেফাজতের নেতারা আলোচনা করেছেন। পাশাপাশি ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের নৃশংসতাসহ আওয়ামী লীগ আমলে গুম, খুনের বিচার ও সব মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে আগামী ৩ মে ঢাকায় অনুষ্ঠেয় হেফাজতে ইসলামের মহাসমাবেশের প্রসঙ্গেও কথা বলেন হেফাজত নেতারা।
এছাড়া সংস্কার বিষয়ে নিজেদের প্রস্তাব নিয়েও আলোচনা করে হেফাজত ও এনসিপি।
খুলনা গেজেট/জেএম