‘ইনকিলাব ইনকিলাব, জিন্দাবাদ জিন্দাবাদ’, ‘ক্যানসার আওয়ামী লীগ, ব্যান ব্যান আওয়ামী লীগ’, ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এ বাংলায় হবে না’, ‘দিল্লি না ঢাকা, ঢাকা ঢাকা’, ‘জ্বালোরে জ্বালো, আগুন জ্বালো’। আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধের দাবিতে এমন স্লোগানে উত্তপ্ত হয়ে উঠে খুলনার শিববাড়ির মোড়।
শনিবার (১০ মে) বিকাল ৪টার পর থেকে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) খুলনা, খুলনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, ইসলামী আন্দোলন, ইসলামী ছাত্রশিবির, ইসলামী ছাত্র ও যুব আন্দোলন, জাতীয় নাগরিক কমিটি, দ্যা রেড জুলাইসহ বিভিন্ন সংগঠন এ বিক্ষোভ করেন। বৈশাখের তপ্ত রোদ উপেক্ষা করে এতে যোগ দেন নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ।
শিববাড়ির মোড়ে ব্লকেড কর্মসূচি পালিত হওয়ায় খুলনা-যশোর মহাসড়ক, শিববাড়ি থেকে সোনাডাঙ্গা, ময়লাপোতা, রূপসা সড়কে কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এনসিপি (জাতীয় নাগরিক কমিটি) সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত বলেন, খুনি হাসিনা পালিয়ে যাওয়ার ৯ মাস পেরিয়ে গেলেও শুধুমাত্র ছাত্রলীগ নিষিদ্ধ হয়েছে। বারবার দাবি জানানোর পরও আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। সাধারণ মানুষ দলটিকে রাজনীতিতে আর দেখতে চায় না। এবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ করেই এ আন্দোলন থামকে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সহ-সমন্বয়ক ও খুলনা জেলা সদস্য সচিব সাজিদুল ইসলাম বাপ্পি বলেন, ফ্যাসিস্ট হাসিনা বিগত ১৬টি বছর সাধারণ মানুষের ওপর অমানবিক জুলুম নির্যাতন করেছেন। তার দল আওয়ামী লীগ খুনের রাজত্ব করেছে। জুলাই আন্দোলনে নিরীহ ছাত্র-জনতার ওপর গুলি চালিয়েছে। এরপরও এ দলটিকে নিষিদ্ধ করা হয়নি। এবার আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ না করা পর্যন্ত রাজপথে থাকবো।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের খুলনা মহানগর কমিটির উপদেষ্টা মিনহাজুল আবেদীন সম্পদ বলেন, আওয়ামী লীগ এখন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের জুলুম নির্যাতন, দুর্নীতি লুটপাট ও তাদের অন্যায় অপকর্মের খতিয়ান জাতির জানা আছে। এ দলটি নিষিদ্ধ এখন সময়ের দাবি।
বক্তব্য রাখেন এনসিপি খুলনার প্রধান সংগঠক আহম্মদ হামীম রাহাত, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মহানগর আহ্বায়ক আল শাহরিয়ার, ইসলামী ছাত্র শিবিরের খুলনা মহানগর সেক্রেটারি রাকিব হাসান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর সহ-সভাপতি শেখ মোহাম্মদ নাসির উদ্দিন, ইসলামী ছাত্র আন্দোলন বাংলাদেশের খুলনা মহানগর সভাপতি মাহাদী হাসান মুন্না, রেড জুলাই এর বিভাগীয় আহ্বায়ক মো.তারেক, জাতীয় নাগরিক কমিটির সংগঠক মুশফিকার সামস মেনান, জাতীয় নাগরিক কমিটির সোনাডাঙ্গা থানা সদস্য ফরিদ আহমেদ পাঠান, সামরিক বাহিনীর সাবেক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, জাতীয় নাগরিক কমিটির খানজাহান আলী থানা সদস্য জায়েদুর রহমান প্রিন্স।
এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন খুলনা জেলার মূখপাত্র মিরাজুল ইসলাম ইমন, ইসলামী ছাত্র শিবিরের কমার্স কলেজ শাখার তারেক রহমান, স্নীগ্ধা সুলতানা মুন্নী,তামান্না সুলতানা, আখী রায়,উম্মে হুরায়রা নুসরাত, নাবা আক্তার শারমিন, মায়মুনা আক্তার পাপীয়া, রাবেয়া সুলতানা রেখা, রুমি রহমান ও রোদেলা আক্তার রেশমি।
খুলনা গেজেট/এমএনএস