বড় স্কোরের ম্যাচে জবাব দিতে নেমে শুরুতেই আউট হয়ে ফিরেছেন বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম ইকবাল। মার্ক অ্যাডায়ারের বলে লেগ স্কয়ারে ফ্লিক করতে গিয়ে তিনি শর্টে থাকা ফিল্ডারের তালুবন্দী হয়েছেন। এতে মাত্র ৯ রানেই প্রথম উইকেট হারিয়েছে টাইগাররা। আউট হওয়ার আগে টাইগার অধিনায়ক করেছেন ১৩ বলে ৭ রান। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৫ ওভারে ১ উইকেটে ১৫ রান।
চেনা কন্ডিশনে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখাল আয়ারল্যান্ডের ব্যাটাররা। ৩১তম ওয়ানডেতেই চতুর্থ সেঞ্চুরি পেয়ে গেলেন হ্যারি টেক্টর। আরেক ব্যাটার জর্জ ডকরেলের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে বাংলাদেশি বোলারদের কচুকাটা করলেন। দুজনের ৬ষ্ঠ উইকেট জুটি বাংলাদেশি বোলারদের কঠিন পরীক্ষা নিয়েছে। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ৪৫ ওভারে আইরিশদের সংগ্রহ দাঁড়িয়েছে ৬ উইকেটে ৩১৯ রান, যা বাংলাদেশের বিপক্ষে আইরিশদের সর্বোচ্চ সংগ্রহ। সিরিজে এগিয়ে যেতে হলে বাংলাদেশি ব্যাটারদের কঠিন পরীক্ষাই দিতে হবে।
টস জিতে বোলিংয়ে নেমে শুরুটা দুর্দান্ত হয় টাইগারদের। দলীয় ১৬ রানেই আয়ারল্যান্ডের দুই উইকেট তুলে নেয় টাইগার বোলাররা। কিন্তু এরপর বাকিটা কেবলই আয়ারল্যান্ডের কৃতিত্ব। বিশেষ করে ব্যাট হাতে টেক্টর এদিন হয়ে উঠেন দানবীয়। শেষ দিকে ব্যাট হাতে ঝড় তুলেন ডকরেলও।
টস জিতে বোলিংয়ে নামা বাংলাদেশকে প্রথম ওভারেই সাফল্য এনে দেন হাসান মাহমুদ। প্রথম ওভারে দুর্দান্ত ডেলিভারিতে স্টার্লিংকে ফেরান তিনি। টাইগাররা নিজেদের দ্বিতীয় সাফল্য পায় হাসানের হাত ধরেই। এবার তিনি ফেরান আরেক উদ্বোধনী ব্যাটার স্টিফেন ডোহানিকে। ২১ বলে ১২ রান করা এই ব্যাটার মেহেদী মিরাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন। এরপর হ্যারি টেক্টরের সঙ্গে শুরুর চাপ সামলে দুর্দান্ত জুটি গড়েন অধিনায়ক বালবার্নি। ১০৪ বলে তাদের ৯৮ রানের জুটি ভাঙেন শরিফুল ইসলাম।
৫৭ বলে ৪২ রান করে মুশফিকের হাতে ক্যাচ দিয়ে প্যাভিলিয়নে ফেরেন আইরিশ অধিনায়ক। মাঝে লরকান টাকারকে শরিফুল ও কার্টিস ক্যাম্পারকে আউট করেন তাইজুল ইসলাম। কিন্তু তখনও ক্রিজের একপাশে ছিলেন হ্যারি টেক্টর। এক পর্যায়ে তিনি বাংলাদেশের বোলারদের তুলোধোনা শুরু করেন।
একপ্রান্ত আগলে রাখা টেক্টরকে দারুণ সঙ্গ দেন জর্জ ডকরেল। দুই ব্যাটারের ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে দিশেহারা হয়ে পড়ে টাইগার বোলাররা। তাদের দুজনের জুটিতে ৬৮ বলে আসে ১১৫ রান। অবশেষে সেটি ভাঙেন এবাদত হোসেন। ৭ চার ও ১০ ছক্কায় ১১৩ বলে ১৪০ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে তার বলে বোল্ড হন টেক্টর।
টেক্টর বিদায় হলেও রানের চাকা সচল রাখেন ডকরেল। এই ব্যাটার ৩ চার ও ৪ ছক্কার ইনিংসে ৪৭ বলে ৭৪ রান করে শেষ অবধি অপরাজিত থাকেন। বাংলাদেশের পক্ষে ৯ ওভারে ৪৮ রান দিয়ে দুই উইকেট লাভ করেন হাসান মাহমুদ দুই। এছাড়া ৮৩ রান দিয়ে দুই উইকেট পান শরিফুলও।
খুলনা গেজেট/এমএম