‘বর্তমান সরকারের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী শক্তিশালী হওয়ায় সন্ত্রাস নির্মূল হয়েছে। দেশের বিভিন্ন ক্ষেত্রে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য বাংলাদেশ পুলিশের বিভিন্ন বিশেষায়িত টিম নিরলসভাবে কাজ করছে। সরকারে ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী আধুনিকায়ন হয়েছে। ২০০১ সালে দেশের যে সকল এলাকা সন্ত্রাসের স্বর্গরাজ্য ছিল এখন সেখানে কোন প্রকার সন্ত্রাসী কার্যক্রম নেই।’
বুধবার দুপুরে বাগেরহাটের পুলিশ সুপার পংকজ চন্দ্র রায় (পিপিএম) চিতলমারীর সদর ইউনিয়নের ডুমুরিয়া মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প বিদ্যমান রাখা বা প্রত্যাহার প্রসঙ্গে এক আলোচনা অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, ’বর্তমানে দেশের রাস্তা-ঘাট, তথ্য-প্রযুক্তিসহ সব দিক থেকে উন্নত হয়েছে। অতীতে বিশেষ প্রয়োজনে এ অঞ্চলের জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য এ অস্থায়ী পুলিশ ক্যাম্প স্থাপন করা হয়েছিল। কিন্তু বর্তমানে সারা দেশসহ এ অঞ্চলের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি সন্তোষজনক। সেক্ষেত্রে এ অস্থায়ী ক্যাম্প বিদ্যমান রাখা বা প্রত্যাহার করার বিষয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করার সময় এসেছে।
পংকজ চন্দ্র রায় আরো বলেন, ‘যদি এ অঞ্চলের জনপ্রতিনিধি, স্থানীয় প্রশাসন ও জনগণ চায় যে এখানে পুলিশ ক্যাম্প থাকা প্রয়োজন তবে তাদের চাহিদার প্রেক্ষিতে এখানে স্থায়ী ভাবে পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপন করা হবে।’
আলোচনা সভায় চিতলমারী থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর শরিফুল হকের সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তৃতা করেন চিতলমারী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অশোক কুমার বড়াল, উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মারুফুল আলম, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সাবেরা বেগম স্বপ্না, চিতলমারী সদর ইউপি চেয়ারম্যান শেখ নিজাম উদ্দীন, স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা মুকুলেশ ঢালী, খালিদুর রহমান টিটো প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন চিতলমারী থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ ইকরাম হোসেন, চিতলমারী উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি প্রদীপ মন্ডল, সাধারণ সম্পাদক মোঃ তাওহিদুর রহমান বাবু, সাবেক সভাপতি এস এস সাগর, সাধারণ সম্পাদক শেখর ভক্তসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।
আলোচনা অনুষ্ঠান শেষে ওই এলাকায় স্থায়ী পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র স্থাপনের লক্ষে সম্ভাব্য কয়েকটি স্থান পরিদর্শন করেন সংশ্লিষ্টরা।
খুলনা গেজেট/এনএম