আদালতে আইনজীবীর সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় প্রধান বিচারপতি সৈয়দ আহমেদ হাইকোর্টের একটি বেঞ্চ ভেঙে দিয়েছেন।
অভিযোগ পাওয়ার পর মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সংশ্লিষ্ট বেঞ্চ থেকে বিচারপতি আতোয়ার রহমান খানকে সরিয়ে দিয়েছেন। তার স্থলে বিচারপতি কেএম হাফিজুল আলমকে বেঞ্চের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। এছাড়া বেঞ্চের জুনিয়র বিচারপতি হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছেন বিচারপতি কাজী জিনাত হক। আদালতের সংশ্লিষ্ট সূত্র এসব তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এর আগে প্রধান বিচারপতি বরাবর অভিযোগ দাখিল করেন কয়েকজন আইনজীবী।
সেখানে বলা হয়, হাইকোর্ট বিভাগের ৭ নং বেঞ্চ (মূল ভবন) ভ্যাকেশন এখতিয়ারাধীন শুরু থেকেই মামলার কার্যতালিকা তৈরি ও শুনানিতে ব্যাপক অনিয়ম পরিলক্ষিত হয়ে আসছে। এ বিষয়গুলো নিরসনের জন্য আইনজীবী সমিতির প্রতিনিধিদের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট আদালতকে অবহিত করার পরও কোনো কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
আজ সকালে মেনশনের সময় আইনজীবীরা ও আইনজীবীদের পক্ষে ব্যারিস্টার আশরাফ রহমান বিষয়টি আদালতের দৃষ্টিতে আনেন। তিনি আদালতকে সম্মানের সঙ্গে শুরুতেই এপোলজি প্রার্থনা করে বলেন, ‘মাননীয় আদালত আপনার আদালতের বেঞ্চ অফিসাররা অনিয়ম করে সকল জমাকৃত মামলা ঠিকমত দৈনিক কার্যতালিকায় দেননি। এতে অসংখ্য আইনজীবী বঞ্চিত হয়েছেন।’ উত্তরে বিচারপতি আতাউর রহমান খান ওই আইনজীবীকে ক্ষিপ্ত হয়ে হাত উঁচিয়ে বলেন, ‘আমি বারের নেতা ছিলাম। তোমাকে কে সাহস দিয়েছে, আমার আদালতের বিরুদ্ধে কথা বলতে। আমার এজলাস থেকে বের হও, বেয়াদব, তোকে থাপ্পড় দিয়ে পুলিশে দেব।’
এ সময় আদালতে অবস্থানরত আইনজীবীরা বিষয়টির তীব্র প্রতিবাদ করলে তিনি এজলাস ত্যাগ করেন।
খুলনা গেজেট/এএজে