আঁচিল হচ্ছে হিউম্যান প্যাপিলোমা ভাইরাসের (এইচপিভি) সংক্রমণে হওয়া ত্বকের একটি সাধারণ রোগ। আমাদের ত্বকে বাড়তি যে নরম দানাদার অংশ দেখা যায় তা আঁচিল নামে পরিচিত।
মেডিকেলের ভাষায় একে ‘ভাইরাল ওয়ার্ট’ বলা হয়। এটি সংক্রামক রোগ। ফলে শরীরের এক স্থান থেকে অন্য স্থানে ছড়াতে পারে, এমনকি একজন থেকে অন্যজনেও ছড়াতে পারে। আঁচিল যেকোনো বয়সেই হতে পারে। তবে শিশু ও কিশোর বয়সে বেশি দেখা যায়।
আঁচিল চেনার উপায়
প্রাথমিক অবস্থায় আঁচিল ত্বকের রঙের ছোট ফুসকুড়ির মতো হয়ে থাকে। ধীরে ধীরে আকারে বড়, অমসৃণ ও শক্ত হতে থাকে। সাধারণত হাতে ও পায়ে বেশি দেখা যায়। মুখ ও যৌনাঙ্গেও এটি হতে দেখা যায়। সাধারণত কোনো ব্যথা থাকে না। চুলকানিও সাধারণত থাকে না।
এছাড়া আঁচিল নানান আকারের হয়ে থাকে- মি.লি. মিটার থেকে শুরু করে কয়েক সেন্টিমিটার পর্যন্ত। বড় মাপের আঁচিল প্রায় পাঁচ সেন্টিমিটার পর্যন্ত হয়ে থাকে। এগুলো বেশিরভাগই উপসর্গহীন। এগুলো অনেক সময় সংক্রমিত হয়।
যেসব কারণে আঁচিল হয়
বংশগত কারণে ত্বকে আঁচিল দেখা দেয়। এছাড়াও ওজন বৃদ্ধি ও ইন্সুলিন রেজিস্টেন্স’য়ের কারণে এমনটা হয়ে থাকে। এটা বয়স বাড়ার সঙ্গে দেখা দিলেও অন্যান্য কারণও আছে। যাদের বংশে ডায়াবেটিস, বাড়তি ওজন ও বহুমূত্র রোগ আছে তাদের ত্বকে আঁচিল ওঠার সম্ভাবনা থাকে। অনেক কম বয়সেও দেখা দিতে পারে।
চিকিৎসা
আঁচিল অপসারণের জন্য বেশ কিছু চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ইলেকট্রোডেসিকেশান। ক্রায়োসার্জারি পদ্ধতিতে তরল নাইট্রোজেন ব্যবহার করা হয়ে থাকে। অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আক্রান্ত কোষকে কেটে অপসারণ করা যায়।
লেজারের মাধ্যমে আঁচিলের চিকিৎসা করা সম্ভব। কিছু ক্ষেত্রে স্যালিসিলিক অ্যাসিড, ইমিকুইমড ক্রিম ক্যানথারিডিন এককভাবে অথবা পোডোফিলিনের সঙ্গে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ব্যবহার করা যেতে পারে।