ভালো থাকা মানে যদি টাকা বাড়ি গাড়ি হয়
বড়লোক মানুষেরা তবে কেন সুখী নয়!
চুপিচুপি কেন কাঁদে প্রাসাদের জানলায়?
না খেয়ে ঘুমায় কেন? ঘরেতে কি চাল নাই!
নাকি তারা টাকা খেয়ে হজমির গুলিতে
দিনরাত এক ক’রে তারা ধরে ঝুলিতে!
ছুটতে ছুটতে এত উপরে সে উঠে যায়
হাত থেকে পরিচিত নামগুলো মুছে যায়।
দুঃখটা বোঝে নাকো দুঃখের মত করে-
মন খুলে কাঁদে না সে মাথা রেখে কারো ঘাড়ে।
তার চেয়ে সুখী নাকি মজদুর লোকটা
শেষ রাতে চাগে যার সয়ে যাওয়া রোগটা
তবু রোজ ভোর হলে চিলি পান্তা চিবিয়ে
ঘর থেকে পথে নামে কষ্টটা নিবিয়ে
দিনশেষে ঘরে ফিরে দেখে মুখ অপেক্ষার
তাকে পেয়ে হেসে ওঠে নেচে ওঠে পরিবার
টগবগে ফেনা ভাত খেয়ে ওঠা ঢেকুরে
চীৎকার করে বলে ‘বেশ সুখে আছি রে
আজকের ভাবনা আজকেই ভাবি, তাই
কাল কি হবে না হবে সেসবের বালাই নাই ‘ ;
ছোট ঘর ছোট সুখ হাসি তবু চওড়া
কপালে পড়ে নি ভাজ হোক ছেলে বাওড়া
আর যদি হতে পারে পড়া শিখে চাকুরে-
ভালো হয়।না হলে হোক অন্তত খাটুরে
রোদে জলে পেকেপুকে ছেলে হয় প্রকৃতির
মায়ে মেয়ে রাঁধে পড়ে নয় কাজ করে ঝি’র
সকলেই জীবনের সব সিঁড়ি পেরিয়ে
একঘাটে জল খায় স্মৃতি যত চারিয়ে
পাশাপাশি ধাপি দুইয়ে বড়লোক গরীবে
হিসেবের খাতা খুলে মাপ করে নসিবের
পাল্লাটা ভারি হয় গরীবের মীযানে
সুখে থাকা কাকে বলে বড়লোক কি জানে-
ছোট ছোট সুখ বেঁচে বড় সুখ কিনতে
এ জীবন ফুরোলেও পারলে না চিনতে,
গরীবের ঘামে ঘুমে দুঃখের আড়ালেই
কত সুখ জমা থাকে, পেতে হাত বাড়ালেই।
খুলনা গেজেট/এনএম