নিউ জিল্যান্ডে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি হারলেই সিরিজ শেষ হয়ে যেতো অস্ট্রেলিয়ার। খাদের কিনারায় দাঁড়িয়ে দারুণ প্রতিরোধ গড়লো তারা। অ্যারন ফিঞ্চ ও গ্লেন ম্যাক্সওয়েল ঝড়ে বড় লক্ষ্য দেওয়ার পর অ্যাস্টন অ্যাগারের ঘূর্ণিতে ৬৪ রানে জিতলো অজিরা। ওয়েলিংটনে এই জয়ে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ব্যবধান ২-১ এ আনলো তারা।
টস জিতে ফিল্ডিং নিয়ে দ্রুত এক উইকেট তুলে নিলেও অস্ট্রেলিয়া দুই ফিফটিতে ঘুরে দাঁড়ায়। ৪ উইকেটে করে ২০৮ রান করে তারা। এই রান প্রতিহত করতে প্রথম অস্ট্রেলিয়ান হিসেবে এক ম্যাচে ৬ উইকেট নেন অ্যাগার। বাঁহাতি স্পিনার আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে পঞ্চম খেলোয়াড় হিসেবে এই কীর্তি গড়েছেন। ১৭.১ ওভারে ১৪৪ রানে নিউ জিল্যান্ডকে গুটিয়ে দেয় অস্ট্রেলিয়া।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে ম্যাথু ওয়েড (৫) ট্রেন্ট বোল্টের শিকার হন। অধিনায়ক ফিঞ্চ প্রতিরোধ গড়েন জশ ফিলিপ্পেকে নিয়ে। তাদের ৮৩ রানের জুটি ভাঙেন ইশ সোধি। ফিলিপ্পে (৪৩) হাফ সেঞ্চুরি থেকে ৭ রান দূরে থাকতে মার্টিন গাপটিলের ক্যাচ হন।
শক্ত জুটি ভাঙলে ফিঞ্চের সঙ্গে ম্যাক্সওয়েল ক্রিজে থেকে স্কোরবোর্ডে ৬৪ রান যোগ করেন ৩৭ বলে। ৩৪ বলে ফিফটি করা ফিঞ্চ ৬৯ রানে সোধির কাছে উইকেট হারান। মার্কাস স্টয়নিসের সঙ্গে ৪১ রানের জুটি গড়ার পথে ঝড় তোলেন ম্যাক্সওয়েল। এই জুটিতে তার ব্যাট থেকেই এসেছে ৪০ রান, ১১ বলে। ম্যাক্সওয়েল ৩১ বলে ৮ চার ও ৫ ছয়ে ৭০ রানে টিম সাউদির শিকার হন। শেষ দিকে স্টয়নিস ৯ ও মিচেল মার্শ ৬ রানে অপরাজিত থেকে দলীয় স্কোর দুইশ পার করেন।
অভিষেক আন্তর্জাতিক ম্যাচে রিলে মেরেডিথের তোপে পড়ে নিউ জিল্যান্ড। ২৪ বছর বয়সী ডানহাতি ফাস্ট বোলার তার প্রথশ দুই ওভারে টিম সেইফার্ট (৪) ও অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনকে (৯) ফেরান। একপ্রান্ত আগলে রেখে ঝড় তোলা গাপটিল (৪৩) দলীয় ৮০ রানে অ্যাডাম জাম্পার বলে অ্যাগারকে ক্যাচ দেন।
বাকিটা অ্যাগার শো। নিজের দ্বিতীয় ও ইনিংসের ১৩তম ওভারে মাত্র ২ রান দিয়ে ৩ উইকেট তুলে নেন এই স্পিনার। পরের ওভারে আরও একটি উইকেট এবং শেষ ওভারে দুজন ব্যাটসম্যানকে প্যাভিলিয়নে ফেরান অ্যাগার। সোধির শেষ উইকেটটি কেন রিচার্ডসন নেন। নিউ জিল্যান্ডের দ্বিতীয় সেরা ৩৮ রান করেন ডেভন কনওয়ে।
৪ ওভারে ৩০ রান দিয়ে ৬ উইকেট নিয়ে ম্যাচসেরা হয়েছেন অ্যাগার। দুটি পান মেরেডিথ। শুক্রবার ওয়েলিংটনে হবে সিরিজের চতুর্থ ম্যাচ।