খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  গাজীপুরের শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে দুই শিক্ষার্থী নিহত
  ঝিনাইদহে ২ ট্রাকের মুখোমুখি সংঘর্ষে ট্রাক চালকের মৃত্যু
  অ্যান্টিগা টেস্ট: প্রথম দিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজ তুলল ২৫০, বাংলাদেশ পেল ৫ উইকেট

অল্প সহযোগিতায়ও স্বপ্ন দেখেন শিল্পী আক্তাররা

নিজস্ব প্রতিবেদক

‘এক সময়ে পুরানো কাপড়-চোপড় বিক্রি করছি। খেয়ে-নাখেয়ে দিন গেছে। এখন নতুন ছিটকাপড় বিক্রি করছি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে গড়ে প্রতিদিন ৫/৬টি কাপড় বিক্রি করছি। এখন তো খেয়ে পড়ে বাঁচতি পারছি। গরীব মানুষ, অল্প কয়ডা টাকায় অনেক উপকার হইছে।’

এভাবে নিজের কথা বলছিলেন শিল্পী আক্তার (৩৫)। শিল্পী নগরীর ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের লবণচরা ইসলামপাড়া বস্তির বাসিন্দা। দুর্যোগ-দুর্বিপাকে বাগেরহাটের মোড়েলগঞ্জ থেকে খুলনায় এসেছিলেন। খুলনা সিটি করপোরেশনের ২১, ২২ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডে জলবায়ূ পরিবর্তন ও কোভিড-১৯ এ ক্ষতিগ্রস্ত বস্তিবাসীর উন্নয়নে বাস্তবায়িত একটি প্রকল্প থেকে বছর খানেক আগে ১০ হাজার সহযোগিতা পেয়েছিলেন।

শুধু শিল্পী আক্তার নয়, এভাবে প্রকল্পটি থেকে প্রায় ১০ সহ¯্রাধিক মানুষ কেউ প্রশিক্ষণ, কেউ আর্থিক সহযোগিতা বা আবার কেউ কর্মসংস্থান পেয়ে নতুনভাবে বেঁচে থাকার স্বপ্ন দেখছেন।

বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জাগ্রত যুব সংস্থা (জেজেএস) প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করেছে। ২০২২ সালের নভেম্বরে শুরু হওয়া প্রকল্পটি আগামী ১৫ আগস্ট শেষ হচ্ছে। এতে ব্যয় হয়েছে ৪ কোটি ৬ লাখ এক হাজার ২১৭ টাকা।

নগরীর রূপসা ফেরীঘাট ফল বিক্রেতা শাহানা আক্তার শানু বলেন, ‘১০ হাজার টাকা! অনেকের কাছে কিছু নয়। কিন্ত আমার ব্যবসায় এই টাকা অনেক বড়কিছু। কেউতো একটাকাও দেয় না।

সংস্থাটি জানিয়েছে, প্রকল্পটির মাধ্যমে নগরীর ৯টি বস্তির ১০ হাজার ৬২৫ জন সরাসরি উপকৃত হয়েছেন। এরমধ্যে সেলাই, বুটিক, ড্রাইভিং ও পার্লারের কাজে ওস্তাদের (প্রশিক্ষক) মাধ্যমে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন ছয়শ’ জন, ইন্টারশিপের মাধ্যমে কর্মসংস্থান পেয়েছেন দুইশ’ জন ও ১০ হাজার টাকা করে নগদ ব্যবসায়িক সহযোগিতা পেয়েছে দুইশ ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী। এছাড়া সংস্থাটি পানীয় জলের জন্য ৭টি সাবমারসিবল, ৭টি গভীর নলকূপ স্থাপন করেছে। প্রকল্পের মাধ্যমে ১৩টি লেট্রিন নির্মাণ ও পুন:সংস্কার, নারী বান্ধব চারটি ¯œানাগার স্থাপন করা হয়েছে।

সোমবার (২৯ জুলাই) নগর ভবনে প্রকল্পটির ‘লেসন লানিং’ কর্মশালার আয়োজন করা হয়।জেজেএসএর নির্বাহী পরিচালক এটিএম জাকির হোসেন এর সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন খুলনা সিটি মেয়র তালুকদার আব্দুল খালেক।

এ সময় সিটি মেয়র বলেন, জলবায়ূ পরিবর্তনে সবচেয়ে ক্ষতির শিক্ষার খুলনা। উপকূলীয় এলাকায় জলবায়ূ ক্ষতিগ্রস্তরা শহরে আশ্রয় নিচ্ছেন। অর্থনৈতিক সংকটসহ নানা কারণে তারা টিকে থাকতে পারছেনা। তাই এ ধরণের প্রকল্প অন্যান্য ওয়ার্ডে বৃদ্ধি করা প্রয়োজন। একই বরাদ্দকৃত অর্থের যথাযথ ব্যবহার, মনিটরিং ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!