দুই দফায় সময় বৃদ্ধির পরও পূরণ হয়নি কোটা। এতে ৫৮ শতাংশ বা অর্ধেকের বেশি কোটা খালি রেখেই বৃহস্পতিবার (১৮ জানুয়ারি) হজের নিবন্ধন শেষ হয়েছে। ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নিবন্ধনের সময় আরও বাড়ানো যেতো কিন্তু সংখ্যা জানাতে দেরি হলে মিনায় তাঁবু অনেক দূরে নিতে হবে। এ কারণে নিবন্ধনের সময় আর বাড়ানো সম্ভব হয়নি।
ইতোমধ্যেই বিশ্বের অধিকাংশ দেশ তাদের হজযাত্রীর সংখ্যা জানিয়ে দিয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশ এখনো সেই সংখ্যা জানাতে পারেনি। আর হজযাত্রীর সংখ্যা চূড়ান্ত না হওয়ায় মিনাতেও এখনো বাংলাদেশের তাঁবু বরাদ্দ হয়নি। আবার কোটার বড় অংশ খালি থাকায় পরবর্তী বছরগুলোয় কোটা পাওয়ার ক্ষেত্রেও নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করছেন ধর্ম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা।
এর আগে সবশেষ রোববার (১৪ জানুয়ারি) হজ নিবন্ধনের সময় বাড়ানোর কথা জানান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব (হজ অনুবিভাগ) ড. মো. মঞ্জুরুল হক। ওইদিন তিনি বলেছিলেন, ১৮ জানুয়ারি পর্যন্ত নিবন্ধনের সময় রয়েছে। যেহেতু এখনও কাঙ্ক্ষিত নিবন্ধন হয়নি তাই আবার সময় বাড়ানো হবে। তবে কতদিন বাড়বে তা এই মুহূর্তে বলতে পারছি না।
চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী ১৬ জুন (১৪৪৫ হিজরি সনের ৯ জিলহজ) পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে। চলতি বছর (২০২৪ সাল) বাংলাদেশ থেকে হজ করতে পারবেন এক লাখ ২৭ হাজার ১৯৮ জন। এরমধ্যে সরকারি ব্যবস্থাপনায় যেতে পারবেন ১০ হাজার ১৯৮ জন। আর বেসরকারি এজেন্সির মাধ্যমে যেতে পারবেন ১ লাখ ১৭ হাজার জন। গত ৮ জানুয়ারি চলতি বছরে হজ পালনে সৌদি সরকারের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক চুক্তি হয় বাংলাদেশের।
খুলনা গেজেট/কেডি