দল থেকে বাদ পড়ার পর অনেকেই মাহমুদউল্লাহ্র ক্যারিয়ারের শেষ দেখে ফেলেছিলেন। কিন্তু কঠোর পরিশ্রমে নিজেকে নতুন করে গড়ে বিশ্বকাপের আগে দলে ফিরেছেন তিনি। এরপর বিশ্বকাপে নিজেকে নতুন করে চেনাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী রিয়াদ। বাংলাদেশের বাকিরা যখন ব্যাট হাতে ব্যর্থ, রান করেই চলেছেন রিয়াদ। পাকিস্তানের বিপক্ষেও দলের বিপর্যয়ের সময়ে ব্যাটিংয়ে নেমে অর্ধশতক তুলে নিয়েছেন।
সাত নম্বর পজিশনের জন্য রিয়াদকে দলে ফেরালেও বাজে সময় কাটানো দলের হয়ে একেকদিন একেক জায়গায় ব্যাট করতে নামতে হচ্ছে রিয়াদকে। তারই প্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (৩১ অক্টোবর) ইডেন গার্ডেন্সে পাঁচ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নেমেছিলেন তিনি। ততক্ষণে ২৩ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ধুকছিল বাংলাদেশ। সেখান থেকেই লিটন দাসের সঙ্গে ইনিংস মেরামতে নামেন তিনি।
লিটন-মাহমুদউল্লাহর ৭৯ রানের জুটিতে ১০০ পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। কিছুটা ধীরে খেলছিলেন লিটন। তবে রিয়াদ ছিলেন সাবলীল। উসামা মীরের স্পিন বলকে মিড অনের ওপর দিয়ে বাউন্ডারি ছাড়া করে তারই প্রমাণ রাখেন তিনি। রিয়াদ ও লিটন দুজনই এগুচ্ছিলেন অর্ধশতকের দিকে। কিন্তু দলীয় ১০২ রানে লিটন ইফতেখার আহমেদের বলে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। ৬৪ বলে ৪৫ রান করে লিটন ফিরলেই ঠিকই অর্ধশতক পূর্ণ করেছেন রিয়াদ।
২২৭ ওয়ানডের ১৯৭তম ইনিংসে ২৮তম অর্ধশতক পূর্ন করেছেন তিনি। চলতি বিশ্বকাপে পাঁচ ইনিংসে এটি তার দ্বিতীয় পঞ্চাশ ছাড়ানো ইনিংস। আফগানিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে দলে থাকলেও ব্যাটিংয়ে নামার সুযোগ পাননি রিয়াদ। এরপর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দলেই ছিলেন না তিনি।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে দলে ফিরে খেলেন অপরাজিত ৪১ রানের ইনিংস। ভারতের পক্ষেও ৪৬ রান করেছিলেন রিয়াদ। চলতি বিশ্বকাপে রিয়াদ সেরা ইনিংসটি খেলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে। দলের বিপর্যয়ে ১১১ রানের দুর্দান্ত একটি ইনিংস খেলেন। এটি বিশ্বকাপে তার তৃতীয় সেঞ্চুরি। এরপর নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে হারের দিনে অবশ্য ২০ রান করেই ফিরেছিলেন রিয়াদ।
খুলনা গেজেট/এমএম