অর্থ পাচারের অভিযোগে দিল্লির স্বাস্থ্যমন্ত্রী সত্যেন্দ্র জৈনকে গ্রেপ্তার করেছে ভারতের কেন্দ্রীয় অর্থ মন্ত্রণালয়ের তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের (ইডি)। কলকাতার একটি সংস্থার সঙ্গে হাওয়ালা লেনদেনে তিনি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
গত মাসেই ইডি জানিয়েছিল, জৈন পরিবার ও কোম্পানির প্রায় ৪ কোটি ৮১ লাখ টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই আর্থিক তছরুপের মামলায়। ২০১৮ সালে আম আদমি পার্টির নেতৃত্বকেও এই ঘটনায় জেরা করেছিল ইডি।
গত জানুয়ারিতে দিল্লির দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল জানিয়েছিলেন, গোয়েন্দা রিপোর্ট বলছে পাঞ্জাব ভোটের আগেই জৈনকে গ্রেপ্তার করবে ইডি। এবার তিনি সত্যিই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তবে সেটা পাঞ্জাব দখলের পরে।
কেজরিওয়াল আরও জানিয়েছিলেন, এর আগেও ইডি একাধিকবার তল্লাশি চালিয়েছে। কিন্তু কিছুই পায়নি। ফের যদি তারা আসতে চায়, তবে তাদের স্বাগত।
এদিকে দিল্লির উপমুখ্যমন্ত্রী মণীষ শিসোদিয়া জানিয়েছেন, হিমাচল প্রদেশে ভোটের কাজে সক্রিয় অংশ নিচ্ছিলেন সত্যেন্দ্র জৈন। সেকারণেই তাকে ভুয়া মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত ৮ বছর ধরে তার বিরুদ্ধে ভুয়া মামলা চালানো হচ্ছিল।
তিনি জানান, বার বার ইডি তাকে ডেকেছিল। কিছু না পেয়ে এক সময় ডাকাডাকিও থামিয়ে দেয়। যাতে তিনি হিমাচল প্রদেশে প্রচারে যেতে না পারেন, সেকারণেই এবার তাকে গ্রেপ্তার করা হলো