বিদেশে অর্থ পাচারকারীদের যাবতীয় তথ্য চেয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে পররাষ্ট্র সচিব, দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) চেয়ারম্যানসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি এ নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (২২ নভেম্বর) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।
একই সঙ্গে অর্থ পাচারে সম্পৃক্ত দুর্বৃত্ত ও এজেন্টদের দেশ থেকে অর্থ পাচার থেকে বিরত রাখতে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত। শুনানিকালে আদালত বলেছেন, যারা অর্থ পাচার করছে, তারা দেশ ও জাতির শত্রু। তারা দেশ ও জাতির সঙ্গে বেইমানি করছে বলেও মনে করেন আদালত।
আদালত বলেন, ওই ব্যক্তিরা কীভাবে অর্থ পাচার করল, কীভাবে ওই টাকায় বাইরে বাড়ি তৈরি করল, তা অবশ্যই জানা দরকার। তা না হলে এই অপরাধ কমবে না। আদালত বলেন, দেশে থাকবে, দেশে পড়াশোনা করবে, অথচ দেশকে ঠকিয়ে দেশের টাকা বাইরে নিয়ে যাবে, এটা হতে পারে না। একজন মানুষের দেশপ্রেম থাকলে এটি কখনোই হতে পারে না। আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমিন উদ্দিন মানিক, দুদকের পক্ষ আইনজীবী খুরশীদ আলম খান ছিলেন।
আদালত আরো বলেন, অর্থপাচারকারী জাতীয় বেইমান ও দেশের শত্রু। তাই অর্থপাচার রোধে কেন্দ্রীয় ব্যাংক ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে আরও সতর্ক হতে হবে। দেশের অর্থ বিদেশে পাচারকারীদের সুনির্দিষ্ট তালিকা নেই কোনও সংস্থার হাতে।
যদিও দুদক জানিয়েছে, তাদের হাতে ৬০ থেকে ৭০ জনের একটি তালিকা রয়েছে। যার মধ্যে ৮ জনের নাম ঠিকানা দেওয়া হয়েছে ইন্টারপোলকে।
সম্প্রতি পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘আমার ধারণা ছিল, রাজনীতিবিদদের সংখ্যা বেশি হবে, কিন্তু আমার কাছে যে তথ্য এসেছে, যদিও এটি সামগ্রিক তথ্য নয়, সেটিতে আমি অবাক হয়েছি, সংখ্যার দিক থেকে আমাদের অনেক সরকারি কর্মচারীর বাড়িঘর কানাডায় বেশি আছে এবং তাদের ছেলেমেয়েরা সেখানে থাকে’। পত্রিকায় প্রকাশিত তার এ বক্তব্যের প্রতিবেদন আমলে নিয়ে রুলসহ এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
খুলনা গেজেট /এমএম