খুলনা, বাংলাদেশ | ৩০ কার্তিক, ১৪৩১ | ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আগুন নিয়ন্ত্রণে, খুলনায় পাট গোডাউনসহ ১০ দোকানের কোটি টাকার মালামাল পুড়ে ছাই

অর্থাভাবে প্রোডাকশন বয়ের কাজ করতেন অমিতাভপুত্র অভিষেক

বিনোদন ডেস্ক

স্টারকিডরা সোনার চামচ মুখে নিয়ে জন্মান, মাখনের মতো হয় তাদের বড় পর্দার যাত্রা… এই বিশ্বাসেই বিশ্বাসী সবাই। কিন্তু সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অভিষেক বচ্চন তুলে ধরেন তার স্ট্রাগলের কথা, যেখানে রয়েছে অর্থকষ্টের কথাও। যা শুনে কার্যত স্তম্ভিত ভক্তরা।

ব্যবসায় ব্যর্থ হয়ে সব টাকা পয়সা খুঁইয়েছিলেন অমিতাভ। তখন কলেজে পড়াশোনা করতেন অভিষেক। বাবার আর্থিক অনটনের সময় কলেজ ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। দেশে ফিরে বাবাকে সাহায্য করতে সহকারী হিসেবে সেটে কাজ শুরু করেন অভিষেক। এমনকি সেটে চা-ও বানিয়েছেন তিনি।

অভিষেক বলেন, তিনি যখন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কলেজে পড়তেন, তখন ব্যবসায় ক্ষতির ফলে দেনায় ডুবেছিলেন তার বাবা অমিতাভ। বাবার পাশে দাঁড়াতেই তিনি কলেজ ছেড়ে দেশে ফিরে আসেন। গৌতম বেরির জন্য প্রোডাকশন বয় হিসেবে কাজ শুরু করেন, কারণ তার তখন একমাত্র লক্ষ্য ছিল বাবার পাশে দাঁড়ানো। অভিষেক বলেন, সেই সময় কেউ তাকে লঞ্চ করতে চাইতেন না। কেউ অমিতাভের ছেলেকে লঞ্চ করার দায়িত্ব নিতে চায়নি।

তিনি জানান, বলিউডে আত্মপ্রকাশের আগে একটি সময় ছিল, যখন তার কাছে নতুন জামাকাপড় কেনারও টাকা ছিল না। বোনের বিয়েতে কেনা শেরওয়ানি পরেই একটি অ্যাওয়ার্ড সেরেমনিতে যান।

অভিষেক বলেন, ২০ বছর আগের কথা, আগে থেকেই পরিকল্পনা শুরু হয়ে যায় যে কী পরে যাব? সেই সময় কেউ বিনামূল্যে জামাকাপড় দিত না। আর নতুন জামা কেনার মত টাকাও ছিল না আমার, অথচ ওই অনুষ্ঠানে আমাকে পুরো ইন্ডাস্ট্রি দেখবে। এদিকে জিন্স টি-শার্ট পরা যাবে না। তাই, কয়েক বছর আগে আমার বোনের বিয়ের জন্য যে শেরওয়ানি তৈরি হয়েছিল, আমি ওটা পরেছিলাম।

ওই ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে হাজির ছিলেন পরিচালক জেপি দত্তা। ‘বর্ডার’ সিনেমার জন্য পুরস্কৃত হয়েছিলেন তিনি। মঞ্চ থেকে নেমে আসার সময় তার চোখ পড়ে অভিষেকের দিকে। তার দু’দিন পরেই অভিষেককে ফোন করে তিনি ‘রিফিউজি’ সিনেমার অফার করেন। রিফিউজির হাত ধরে বলিউডে পা রাখেন অভিষেক। অমিতাভ বচ্চনের ছেলে হওয়া সত্ত্বেও নিজের অভিনয়ের জোরেই জায়গা করে নিয়েছেন বলিউডে।

 

খুলনা গেজেট/এনএম




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!